
ঢাকা: ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’কে কেন্দ্র করে সমাবেশের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অনুমতি পেলেও তা প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি। তবে এখন দলটির ভাবনায় আবারো ঘুরপাক খাচ্ছে সমাবেশ।
সমাবেশের জন্য সাত নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি চাইলেও তা দেয়নি ডিএমপি। পরে আট নভেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেমের অনুমতি চেয়ে ঢাকা সিটি করপোরেশন ও ডিএমপির কাছে চিঠি দেয় বিএনপি। কিন্ত সিটি করপোরেশন থেকে জানানো, রাস্তায় সমাবেশ ‘নিষিদ্ধ’। আর ডিএমপি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে সমাবেশ করতে পারার অনুমতির সঙ্গে জুড়ে দেয়া হয় ২৭ শর্ত।
ডিএমপির দেয়া এ অনুমতিকে বিএনপির সঙ্গে অনুমতির নামে মস্করা করা হয়েছে বলেও মনে করেন বিএনপির একাধিক নেতা।
তবে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বললে তারা জানায়, আগামী দুই বছর বিএনপি যাতে কোনো প্রকার জনসমাবেশ করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে।
বিএনপির নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি না দেয়া এটা পুলিশের সিদ্ধান্ত নয় প্রকৃত অর্থে সরকারের সিদ্ধান্তই পুলিশের দ্বারা বাস্তবায়িত করেছেন। তবে এখন বিএনপি সমাবেশ নিয়ে আশাবাদি। বিএনপি আশা করে গণতন্ত্র রক্ষায় সরকার এবং ডিএমপি সমাবেশের অনুমতি দিবে।’
১৩ নভেম্বর সমাবেশের জন্য ডিএমপির কাছে চিঠি দিয়েছিল বিএনপি। তবে বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় বিএনপির প্রতিনিধি দল অনুমতি পাওয়ার আশায় ডিএমপির কার্যালয়ে গেলেও পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে কেউ কোনো কথা বলতে আসেনি। ডিএমপি কেন কথা বলেনি সে বিষয়ে বিএনপি এখনো সাংবাদিকদের কিছু জানানো হয়নি।
তবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, ‘১৩ নভেম্বর সমাবেশের জন্য বিএনপিস অঙ্গসংগঠনগুলো এরইমধ্যে প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেছে। আমারা আশা করছি এবার আর ডিএমপি অনুমতি দিতে কোনো প্রকার বাধা নেই।
তবে ডিএমপি যদি এবারো সমাবেশের অনুমতি না দেয় তবে কী করবে বিএনপি এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ‘যদি এবার অনুমতি না দেয় তবে ১৩ তারিখের পর আমাদের নেতাকর্মীদের নিয়ে সিদ্ধান্ত বা কর্মসূচি দেয়া হবে।’
প্রতিবেদন: শেখ রিয়াল, সম্পাদনা: সজিব ঘোষ