
ঢাকা: সমাবেশের অনুমতি নিয়ে পুলিশের আচরণ রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসিচব রুহুল কবির রিজভী। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রোববার দুপুরে তিনি একথা জানান।
রিজভী বলেন, “৮ নভেম্বরের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নেক্কারজনক খেলায় সরকার মেতে উঠেছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কোনো দলের নয়, রাষ্ট্রের। আশা করি, ৮ নভেম্বর অনুমতি পাওয়া যাবে। দানবের মতো আচরণ করলে গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে না। তাই শান্তিপূর্ণ জনসমাবেশ করতে আমি অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”
তিনি আরো বলেন, “বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ৮ নভেম্বর নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এটি জাতীয় দিবস। বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি। জনসমাবেশ সফল করতে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠন পুরোদমে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। তবে সমাবেশের অনুমতি নিয়ে পুলিশের আচরণ রহস্যজনক।”
রিজভী বলেন, “আমরা এখনো দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ৮ নভেম্বর দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে বিএনপি অনুমতি পাবে। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বাধ্যবাধকতা, মনান্তর থাকবে, কুটনীতিও থাকতে পারে, কিন্তু দানবীয় শক্তি প্রয়োগ করে বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক অধিকারকে দমন করলে তা কখনোই গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির সমাজভূমি নির্মাণ করবে না।”
দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করি পুলিশের গ্রেফতারের কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, “কদমতলী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জুম্মন চেয়ারম্যান, বিএনপি নেতা মাহবুব, মাসুম, হাসমত ও মিরাজনগর ইউনিট বিএনপি নেতা তাওলাদ হোসেনকে শনিবার পুলিশ গ্রেফতার করে। কদমতলী থানা পুলিশ কর্মকর্তা মফিজ তার দলবলসহ মিরু কমিশনারের বাসায় হানা দিয়ে দারোয়ানকে মারধর করে। এছাড়া নরসিংদী জেলা ছাত্রদল সভাপতি নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং শহর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সুমন চৌধুরীকেও পুলিশ শনিবার গ্রেফতার করে। দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহার ও তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি আমরা।”
৭ নভেম্বর সোমবার সকাল ১০টায় ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শেরেবাংলা নগরস্থ শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন। এছাড়া দেশব্যাপী দলের সকল ইউনিটে যথাযথ মর্যাদায় দিবসটির কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।
প্রতিবেদক: শেখ রিয়াল, সম্পাদনা: আবু তাহের