
আবুজা: দুই বছর আগে অপহৃত নাইজেরিয়ার স্কুল ছাত্রীদের নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে দেশটির জঙ্গি সংগঠন বোকো হারাম। ভিডিওতে এখনো বেঁচে থাকা স্কুল ছাত্রীদের কয়েকজনকে দেখানো হয়েছে। এতে দাবি করা হয়, বাকীরা বিমান হামলায় নিহত হয়েছে।
সশস্ত্র এই জঙ্গি গোষ্ঠী ২০১৪ সালের ১৪ এপ্রিল নাইজেরিয়ার বোর্নো রাজ্যের চিবোক শহরের একটি সরকারী স্কুল থেকে ২৭৬ জন মুসলিম এবং খ্রীষ্টান স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার ইউটিউবে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে পাগড়ি দিয়ে মুখ ঢাকা একজন অপহৃত স্কুলছাত্রীদের অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলছেন, তাদের জানা উচিত যে, তাদের সন্তানরা এখনো আমাদের কাছে আছে।
নাইজেরিয়ায় অবস্থানরত আল জাজিরার প্রতিবেদক জানান, ভিডিওতে দেখা যাওয়া ব্যক্তিটি বোকো হারামের নেতা আবু বকর শেকাউ এর উত্তরসূরি হিসেবে নিজেকে দাবি করেন। এবং গ্রুপের যোদ্ধাদের জেল থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য নাইজেরিয়ার সরকারের প্রতি আহবান জানান।
চলতি মাসের শুরুতে আবু বকর শেকাউ এর স্থলাভিষিক্ত করে আবু মুসাব আল-বারনাওয়িকে সংগঠনটির নতুন নেতা হিসেবে দায়িত্ব দেয় আইএস। আবু বকর ৭ বছর বোকো হারামের নেতৃত্বে ছিলেন। এসময় ২০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন এবং লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হন।
ভিডিওতে মুখোশধারী ব্যক্তিটি বলেন, সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় চিবোক স্কুলছাত্রীদের অনেকেই নিহত হয়। বোকো হারামের যোদ্ধাদের জেল থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য নাইজেরিয় সরকারের প্রতি চাপ সৃষ্টির জন্য অপহৃত ছাত্রীদের অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরো জানান, ৪০ জন ছাত্রী বিয়ে করেছে। কেউ কেউ বিমান হামলায় নিহত হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
স্কুল ছাত্রীদের অপহরণ নাইজেরিয়ার রাজনীতিতে একটি ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। এই ছাত্রীদের উদ্ধারে ব্যর্থ হওয়ায় দেশটির সরকার এবং সেনাবাহিনীর ব্যাপক সমালোচনা করা হয়।
লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে থেকে প্রায় ২ হাজার বালক বালিকাকে অপহরণ করে বোকো হারাম। এদের যৌন দাসী, যোদ্ধা এবং আত্মঘাতী বোমারু হিসেবে ব্যবহার করে জঙ্গি সংগঠনটি।
পশ্চিমা প্রভাবিত নাইজেরিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে বিগত কয়েক বছর ধরে লড়াই করছে বোকো হারাম গোষ্ঠী। সূত্র: আল জাজিরা
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এফকে