
এম কে রায়হান: এ প্রজন্মের ছেলেদের কাছে বাইক একটি অতি আকর্ষণীয় বস্তু। সব কিশোর আর যুবকদের স্বপ্ন থাকে একটি বাইকের মালিক হওয়া। সময়ের বিবর্তনে যোগ হয়েছে নতুন ধারা। সামাজিক মাধ্যমগুলোর বদৌলতে গড়ে উঠেছে অনেকগুলো বাইকিং কমিউনিটি। যার মধ্যে অন্যতম হল জিক্সার ক্লাব বাংলাদেশ (জি.সি.বি.)।
২০১৫ সালে বাংলাদেশের বাজারে সবচেয়ে বেশি আধিপত্য বিস্তার করেছে যে বাইকটি তার নাম সুজুকি জিক্সার। সে বাইকের নাম থেকেই নামকরণ করা হয় ক্লাবটির। ২০১৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৩ জন সদস্য নিয়ে ফেইসবুকে যাত্রা শুরু করে এ ক্লাব। ক্লাবটি প্রতিষ্ঠা করেন এম বি এইচ নিঝুম।
ক্লাবটি সম্পর্কে প্রতিষ্ঠাতা এম বি এইচ নিঝুম বলেন, “অন্যান্য বাইকিং রিলেটেড গ্রুপে দেখলাম অনেকে জিক্সার বাইক নিয়ে অনেক আজে বাজে লেখা লিখছে, তখন আমার মনে হল আমাদের একটা গ্রুপ থাকলে আমরা আমাদের বাইক সম্পর্কিত তথ্য নিজেদের ভেতর শেয়ার করতে পারবো এবং অনলাইনে আমাদের নিজেদের একটা আড্ডারও জায়গা হবে। মুলত এ কারণেই জিক্সার ক্লাব বাংলাদেশ এর জন্ম।”
হাঁটি হাঁটি পা পা করে আজ ক্লাবটির সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৮ হাজার। সোনারগাঁও,গাজীপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, টাংগাইল, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, সিলেট, কুয়াকাটা, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের ৩২ জেলা এ পর্যন্ত ভ্রমণ করেছে ক্লাবটি। বাংলাদেশের ৬৪ জেলা ভ্রমণ করে দেশের সুন্দর সুন্দর জায়গাগুলো ফেইস বুকের মাধ্যমে সবার সামনে তুলে ধরতে চায় ক্লাবটি।
সারাদেশ ভ্রমনের পাশাপাশি ক্লাবটি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে নিজেদের সম্পৃক্ত করেছে। করেছে বন্যার্তদের সাহায্য, পাশে দাঁড়িয়েছে গরিব অসুস্থ মানুষদের, সাহায্য করেছে বৃদ্ধাশ্রমে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে প্রতিষ্ঠাতা নিঝুম বলেন, “আমাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা বাইকিং সেইফটি নিয়ে সারা দেশে ট্যুর এর সময় বাইকারদের সাথে কথা বলে তাদের সচেতন করা। অদূর ভবিষ্যতে হয়তো আমারাও আমাদের গ্রুপ থেকে দেশের বাইরে ট্যুর দেবো। আমাদের গ্রুপ জিক্সার বাইককে কেন্দ্র করে গড়ে উঠলেও এখন সকল ব্র্যান্ড-এর বাইক নিয়ে এটি এক বৃহৎ পরিবার। ভবিষ্যতে আমরা আমাদের এ গ্রুপকে সকল বাইকার এর জন্য একটা নির্ভরযোগ্য প্লাটফর্ম হিসেবে গড়ে তুলতে চেষ্টা করবো”।
ক্লাবটির আরেকজন এডমিন শামসুজ্জামান রিমান বলেন, “আমাদের নীতি হচ্ছে সকল বাইকিং গ্রুপের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। আমাদের সাধ্যের ভেতর বিভিন্ন সমাজ উন্নয়ন মূলক কাজে সাহায্য করা। নিরাপদ বাইকিং এবং হেলমেটসহ বিভিন্ন সেইফটি ইকিউপমেন্ট ব্যবহার করতে বাকি বাইকারদের উৎসাহিত করা।”
সম্পাদনা: প্রণব