
ঢাকা: অবশেষে শুরু হতে যাচ্ছে নম্বর অপরিবর্তীত রেখে অপারেটর বদলের সেবা মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি)। মোবাইল অপারেটরদের অনাগ্রহের কারণে এতদিন এই সেবাটি চালু করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে বিটিআরসি’র ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ‘এই সেবা দিতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিতে ২১ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত নিলাম অনুষ্ঠান করবে বিটিআরসি। প্রাথমিক অবস্থান একটি লাইসেন্স দেয়া হলেও প্রয়োজন হলে পরে আরো লাইসেন্স দেয়া হবে।’
তিনি জানান, নিলাম অনুষ্ঠানের এক মাসের মধ্যে লাইসেন্স নিতে বিজয়ী প্রতিষ্ঠানকে বিটিআরসি’র সব ধরনের আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করতে হবে। আর লাইসেন্স পাওয়ার পর থেকে ছয় মাসের মধ্যে দেশের মোট মোবাইল অপারেটরের কমপক্ষে এক শতাংশকে এমএনপির আওতায় আনতে হবে। এক বছরের মধ্যে এর পরিমাণ হবে পাঁচ শতাংশ এবং পাঁচ বছরের মধ্যে ১০ শতাংশ।
‘প্রাথমিকভাবে একটি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ বছরের জন্য এই লাইসেন্স প্রদান করা হবে। তবে পরে সরকার বা কমিশনের অনুমোদন নিয়ে পাঁচ বছরের জন্য লাইসেন্স নবায়ন করা যাবে। তবে কোনো মোবাইল অপারেটর এই সেবা দিতে নিলামে অংশ নিতে পারবে না’।
এমএনপি সেবা দিতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোকে এক লাখ টাকার বিনিময়ে আবেদন করতে হবে। লাইসেন্স ফি নির্ধারিত হবে নিলামের মাধ্যমে। তবে বাৎসরিক লাইসেন্স ফি হবে ২০ লাখ টাকা। আর এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে হবে এক কোটি টাকা বলেও জানান তিনি।
বর্তমানে বিশ্বের ৭২টি দেশে এমএনপি সার্ভিস চালু রয়েছে। মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি সুবিধা প্রথম সিঙ্গাপুরে চালু হয় ১৯৯৭ সালে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পাকিস্তানে এমএনপি সার্ভিস চালু হয় ২০০৭ সালের মার্চে। ২০১১ সালে ভারতও এই সেবা চালু করে।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/আরকে/এসজি