
জামালপুর: ভারত থেকে ভেসে আসা বুনো হাতিটিকে চেতনা-নাশক প্রয়োগ করে অজ্ঞান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে চেতনা-নাশক প্রয়োগের পর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার একটি গ্রামের ডোবার পানিতে থেকে হাতিটিকে উদ্ধার করা হয়।
হাতিটি গভীর পানিতে পড়ে নড়াচড়া করতে পারছিল না। হাতিটি মারা যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছিল। তবে দুই গ্রামের বাসিন্দারা রশি দিয়ে হাতিটিকে টেনে তোলে।
এরপর বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সার্জন তপন কুমার দে হাতিটির শরীরে চেতনা ফেরার ওষুধ প্রয়োগ করেন। উদ্ধারকারী দলের কর্মকর্তারা এখন হাতিটি পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
বনবিভাগের কর্মীরা জানান, হাতিটা জীবিত আছে। তবে পুরোপুরি জ্ঞান ফেরেনি। হাতিটিকে বাঁচিয়ে রাখাই এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
এর আগে হাতিটি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভারত থেকে একটি প্রতিনিধি দল এসে হাতি উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যায়।
হাতিটি ২৮ জুন ভারতের আসাম রাজ্য থেকে বন্যার পানিতে ভেসে ব্রহ্মপুত্র নদ বেয়ে কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে। এরপর বগুড়ার সারিয়াকান্দি হয়ে যমুনা নদীর পানিতে ভেসে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার মনসুর নগর ইউনিয়নের দুর্গম ছিন্নার চরে ১১ দিন অবস্থান করে। ২৭ জুলাই হাতিটি সরিষাবাড়ী উপজেলায় আসে। তখন থেকে হাতিটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/প্রতিনিধি/এসজি