
ওয়াশিংটন: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টি মনোনীত প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারণার প্রধান ইস্যু, অনথিভুক্ত ১ কোটি ১০ লাখ অভিবাসীকে বিতাড়িত করা। কিন্তু সম্প্রতি এই পরিকল্পনা থেকে কিছুটা পিছু হটে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
তার প্রচারাভিযানের ম্যানেজার কেলিয়ানি কনওয়ে জানান, অবৈধভাবে বসবাস করা অভিবাসীদের ব্যাপকহারে বিতাড়নের বিষয়টি এখনো নির্ধারিত হয়নি। হিস্পানিক(যুক্তরাষ্ট্রে বাস করা লাতিন আমেরিকার অধিবাসী) উপদেষ্টাদের একটি নতুন প্যানেলের সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাতের পর তিনি এই মন্তব্যটি করেন।
লাতিনো নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, কিছু অবৈধ অভিবাসীকে তিনি আইনি বৈধতা দিবেন।
সোমবার মার্কিন টিভি চ্যানেল ফক্স নিউজকে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, অভিবাসী বিতাড়ন সংক্রান্ত তার পরিকল্পনার ক্ষেত্রে তিনি ডিগবাজি দিবেন না তবে এক্ষেত্রে ন্যায্য একটি পরিকল্পনা করতে চান।
নিউইয়র্কের এই আবাসন ব্যবসায়ীর বৃহস্পতিবার কলোরাডোয় অভিবাসনের উপর একটি বক্তৃতা দেয়ার কথা। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকেই ট্রাম্প অভিবাসন বিষয়ে কঠোর অবস্থানে ছিলেন। নির্বাচিত হলে অবৈধ অভিবাসীদের জোর করে বিতাড়িত করার অঙ্গীকার করেছিলেন। এছাড়া অভিবাসনরোধে প্রতিবেশি মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
কিন্তু সাম্প্রতিক বিভিন্ন জনমত জরিপে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের তুলনায় পিছিয়ে পড়ার আভাস পেয়ে তিনি তার কঠোর অবস্থান থেকে কিছুটা সরে আসেন। তিনি শ্বেতাঙ্গ শ্রমিক শ্রেণীর বাইরে নিজের সমর্থক গোষ্ঠী বাড়ানোর অভিপ্রায়ে সম্প্রতি আফ্রিকান-আমেরিকান এবং হিস্পানিক ভোটারদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা করেছেন।
গত শনিবার ভার্জিনিয়ায় এক জনসমাবেশে ট্রাম্প জানান, আফ্রিকান-আমেরিকান ভোটাররা যেন আবারো রিপাবলিকান পার্টিতে ফিরে আসে।
ট্রাম্পের প্রচারাভিযান ম্যানেজার গত রোববার সিএনএনকে বলেন, ‘আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করবো এটাই তিনি চান। এছাড়া যেসব আমেরিকান চাকরির সন্ধান করছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং যেসব মানুষ আমাদের আশেপাশে বাস করছেন তাদের প্রতি ন্যায্য আচরণ করা এবং মানবিক হওয়ার বিষয়টি তিনি সমর্থন করেন।’ সূত্র: বিবিসি, গার্ডিয়ান
প্রতিবেদন: ফারহানা করিম, সম্পাদনা- জাহিদুল ইসলাম