
ঢাকা: অর্গানোগ্রাম বহির্ভূতভাবে বিদেশে বাংলাদেশের মিশনসমূহে অডিটকরণের লক্ষ্যে গঠিত অডিট পার্টি সমূহকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে যথাযথ অডিটরদের (নিরীক্ষক) দ্বারা কেন মিশন ও অডিটপার্টি গঠন করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মোহম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি একেএম সাহিদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশের কম্পোট্রলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএএজি), অর্থসচিব, পররাষ্ট্রসচিব ও মিশন অডিটের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ১৩ জনকে উক্ত রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
অর্গানোগ্রাম বহির্ভূতভাবে অডিট পার্টি গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন বাংলাদেশ অডিটরস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সভাপাতি এ কে এম শাহজালাল মিয়া।
আবেদনে বলা হয়, একজন অডিটর, অডিটর সুপার এবং অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্ট অফিসারের সমন্বয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট মিশন অডিট পার্টি গঠনের জন্য অর্গানোগ্রামে বলা হয়েছে। কিন্তু অডিটর জেনারেল এই অর্গানোগ্রাম না মেনে নিজের খেয়াল খুশি মতো মিশন অডিট পার্টি গঠন করছে, যা অর্গানোগ্রাম পরিপন্থী।
আবেদনের পক্ষে খন্দকার মাহবুব হোসেন শুনানি করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করেন।
বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি মিশনগুলোর বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব পর্যালোচনা করে মিশন অডিট পার্টি। গত বছর বিদেশে বাংলাদেশের ২৭টি মিশনে অডিট পার্টি পাঠানো হয়েছে।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এফএইচ/এফকে/জাই