
ঢাকা: আইসিটি সেক্টরে ব্যাংকগুলো এগিয়ে আসছে না। তারা জানে না, কীভাবে এই সেক্টরে বিনিয়োগ করতে হয়। কারণ, এখানে দেখানোর কিছু নেই। এক্ষেত্রে ব্যাংকের অর্থায়ন নীতির মধ্যে থাকা দরকার যে, কীভাবে ই-কমার্সকে সহায়তা করা যায়। ব্যাংকের অর্থায়ন ছাড়া ই-কমার্সের প্লাটফর্ম গড়ে উঠবে না।
বুধবার ঢাকা রেডিসন ব্লু-হোটেলে আয়োজিত ই-কমার্স পলিসি কনফারেন্সের দ্বিতীয় সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এসব কথা বলেন।
ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘ই-কমার্স বা ই-বাণিজ্যে নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। যাতে ক্রেতারা পণ্য কিনে প্রতারিত না হয়। এছাড়া নিজেদের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি এবং প্রচার প্রচারণা প্রয়োজন।’
এর আগে প্রথম সেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ই-কমার্স প্রসারে চারটি স্তম্ভের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। যার মধ্যে ই-গভর্নেন্স, দ্রুত গতির ইন্টারনেটের জন্য কানেকটিভিটি, দক্ষ মানবসম্পদের উন্নয়ন ও শিল্পখাতের প্রসার। এগুলো নিশ্চিত করা গেলেই দেশে ই-কমার্সের প্রসার সম্ভব।’
জুনায়েদ আহমেদ বলেন, ‘গোটা দুনিয়া লেনদেনের ক্ষেত্রে অনলাইন প্লাটফর্মে চলে গেছে। বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকতে পারে না। আমরা যে এগিয়ে যাচ্ছি, তার প্রমাণ হলো ডিজিটাল কমার্স বা ই-কমার্স।’
অন্যদিকে ই-কমার্স কনফারেন্সের তৃতীয় সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানান, নিরাপদে লেনদেন নিশ্চিত করতে দেশের ৯ হাজার ৮৮৬ টি পোস্ট অফিসকে ই-কমার্সের কেন্দ্রবিন্দুতে আনা হবে। এই লক্ষ্যে পোস্ট অফিসগুলোকে শিগগিরই ই-কমার্সের সঙ্গে যুক্ত করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ই-কমার্সের ভিত্তি গড়ে তুলতে হলে প্রথমেই প্রয়োজন ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি করা। সরকার এটির প্রাথমিকভাবে কাজ করে দিয়েছে।’ তবে তিনি মনে করেন এ খাতটির বিকাশে মূল ভূমিকা পালন করতে হবে এর উদ্যোক্তাদের।
ই-কমার্স সেক্টরে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দরকার মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এই সেক্টরের সবাইকে নিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। মার্কেটকে প্রতিযোগীতাপূর্ণ করতে হবে। এটা আমাদের কাজ। আমরা এটা করে দিবো।’
প্রতিবেদন: এম.রেজাউল করিম, প্রকাশ: প্রীতম