
বাগদাদ: ইরাকি প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদি মসুলে অবস্থানরত আইএস যোদ্ধাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছেন। জঙ্গি এই সংগঠনটির কবল থেকে ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরটিকে উদ্ধার করার লক্ষ্যে ইরাকের বিশেষ বাহিনী ইতিমধ্যেই শহরটির পূর্বদিকের শহরতলি এলাকায় ঢুকে পড়েছে।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী আবাদি ইরাকের রাষ্ট্রীয় টিভিতে বলেন, ‘হয় তারা মৃত্যুবরণ করবে নতুবা আত্মসমর্পণ করবে। এর বাইরে তাদের জন্য আর কোন পথ খোলা নেই।’
মসুলে পাঁচ হাজার আইএস যোদ্ধা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে এই যোদ্ধাদের সঙ্গে ইরাকি বাহিনীর তীব্র লড়াই হচ্ছে বলে জানা গেছে। আইএস যোদ্ধারা অ্যান্টি ট্যাংক মিসাইল এবং ছোট অস্ত্র দিয়ে জোট বাহিনীর মোকাবিলা করছে।
পূর্ব মসুল হতে আল জাজিরার সংবাদদাতা স্টেফানি ডেকার জানান, অগ্রসরমান ইরাকি বাহিনীর বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে আইএস। কুর্দি পেশমেরগা বাহিনী জানিয়েছে, জঙ্গি সংগঠনটি মসুলের তেলের কূপগুলি জ্বালিয়ে দিয়েছে। এছাড়া তারা টায়ারও পুড়িয়েছে। ফলে চারদিক অন্ধকার হয়ে রয়েছে। মূলত এটা আইএসের একটা কৌশল। জোট বাহিনী যেন বিমান হামলার সময় তাদের অবস্থান সনাক্ত করতে না পারে সেজন্য এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
যদি ইরাকি বাহিনী গোগজালি এলাকায় প্রবেশ করতে পারে, তাহলে দুই বছরের মধ্যে প্রথমবার তারা মসুলে পা রাখতে সক্ষম হবে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে আইএসের ক্ষুদ্র একটি দলের কাছে লড়াইয়ে হেরে মসুল ত্যাগ করতে বাধ্য হয় ইরাকি বাহিনী।
দুই সপ্তাহেরও বেশি আগে ইরাকি বাহিনী তাদের কুর্দি জোট, সুন্নি আদিবাসী এবং শিয়া মিলিশিয়ারা আইএসের কবল থেকে মসুল উদ্ধার করার জন্য অভিযান শুরু করে। স্বল্প সময়ের মধ্যেই এই বাহিনী মসুলের দিকে দ্রুত অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করেছে। সূত্র: আল জাজিরা
গ্রন্থনা: ফারহানা করিম, সম্পাদনা: সজিব ঘোষ