
যশোর: চলতি মওসুমে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ১ লাখ ৪৬ হাজার ৬৯৭ হেক্টর জমিতে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৯ টন আউশ ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। জেলাগুলো হচ্ছে-যশোর, নড়াইল, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নিত্যরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ‘আউশ ধান একটি সহজলভ্য কৃষি ফসল। এ ধান চাষে কৃষকদের তেমন কোন খরচ নেই এবং কোন ধরনের ঝামেলাও পোহাতে হয় না। তাছাড়া সরকার আউশ ধান চাষের জন্য বিনামূল্যে বীজ, সার এবং সেচ ও আগাছা নিড়ানোর জন্য নগদ টাকা কৃষি প্রণোদনা দিয়েছে। যে কারণে এ ধান চাষে কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।’
আউশের চাল পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য শস্য। যে কারণে প্রতিবছর এ অঞ্চলে আউশের চাষ বাড়ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ অঞ্চলে আউশের বাম্পার ফলন হবে বলেও তিনি জানান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, যশোরে ২১ হাজার ৬৪৭ হেক্টর জমিতে ৫৪ হাজার ৩৫১টন, নড়াইলে ৬হাজার ৪২১ হেক্টরে ১০ হাজার টন, ঝিনাইদহে ২৭ হাজার ১৭৫ হেক্টরে ৬৯ হাজার ২৩০টন, মাগুরায় ৫ হাজার ৫৮৮ হেক্টরে ১২ হাজার ৮২০টন, কুষ্টিয়ায় ৩১ হাজার ৫৬৬ হেক্টরে ৬৯ হাজার ৮৮০ টন, চুয়াডাঙ্গায় ২৯ হাজার ৫২ হেক্টরে ৮১ হাজার ৪৩৪ টন, মেহেরপুরে ৯ হাজার ৬১৯ হেক্টরে ২৬ হাজার ৬৪২টন, সাতক্ষীরায় ৬হাজার ২২৮ হেক্টরে ১৫ হাজার ৮৭০ টন, বাগেরহাটে ৫হাজার ৭৫৪ হেক্টরে ১৩ হাজার ৭৫১ টন এবং খুলনা জেলায় ৩ হাজার ১৯৭ হেক্টর জমিতে ৪ হাজার ৯৪১ টন আউশ ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নড়াইল সদর উপজেলার টাবরা গ্রামের আউশ চাষী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ভামিনী মোহন রায় জানান, আউশ ধান উৎপাদনে কৃষকদের তেমন বেগ পেতে হয় না। জমির সামান্য পরিচর্যা করলেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। তেমন কোন ওষুধের প্রয়োজন পড়ে না। এবার তিনি ২ একরের বেশি জমিতে আউশের চাষ করেছেন।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এসজি