
ডেস্ক: অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের সাথে ভারতের নৌ ট্রানজিট। বৃহস্পতিবার থেকে মাশুলের বিনিময়ে নৌ ট্রানজিট চালু হচ্ছে।
ট্রানজিটের জন্য ৩টি পর্যায়ে মাশুল নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি বিধিবদ্ধ সংস্থা বাংলাদেশ (ট্যারিফ) কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান বলেন, কোথায় এবং কিভাবে ট্রানজিট আদায় করা হবে তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু বলা নেই।
ভারতের চেন্নাই, কৃষ্ণপাটনাম, বিশাখাপাটনাম, কাশিনাদা, প্যারাদিপ, হলদিয়া ও কলকাতা নৌ বন্দর থেকে পণ্যবাহী জাহাজ ভিড়বে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, মংলা, খুলনা, পায়রা, নারায়ণগঞ্জ, পানগাঁও ও আশুগঞ্জ বন্দরে। বন্দর থেকে পণ্য খালাস হলে বাংলাদেশি ট্রাক সেই পণ্য নিয়ে যাবে ভারতে। পণ্যের শুল্ক, সড়ক ও বন্দর ব্যবহারের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ফি বা মাশুল।
প্রতি মেট্রিক টন পণ্যের জন্য শুল্ক ফি ধরা হয়েছে ১৩০ টাকা, রোড চার্জ প্রতি কিলোমিটারে ৫২ টাকা ২২ পয়সা, বন্দর ব্যবহারের জন্য ১০ টাকা পাবে বিআইডব্লিউটিএ। মোট ১৯২ টাকা দিয়েই ভারতের পণ্য বাংলাদেশ দিয়ে আবার ভারতে যাবে।
এরই মধ্যে বাংলাদেশের ভূখন্ডে চলে আসা ভারতীয় একটি জাহাজ আশুগঞ্জে পৌছাবে ১৫ জুন রাতে। ১৬ জুন সকালে এই জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের মাধ্যমেই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে নৌ ট্রানজিটের।
১৯৭২ সালে ট্রানজিটের বিষয়ে চুক্তি করেন শেখ মুজিব ও ইন্দিরা গান্ধী। এরপর বিভিন্ন পট পরিবর্তনের পর ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় ট্রানজিটের বিষয়টি আবারো আলোচনায় আসে।
গত বছরের জুনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরে এলে এই চুক্তি সংশোধন করে বাংলাদেশ। একই বছর দিল্লিতে মাশুল নির্ধারণের বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার পরই এ নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/আইকে/ওয়াইএ