
ঢাকা: রাজধানীর অনেকে বেশ আগেভাগেই ঈদ কেনাকাটা সাড়ছেন। এর মধ্যে তৈরী পোশাক সামগ্রী কেনার হারই বেশি। সোম ও মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে এমনটাই জানতে পেরেছেন নিউজনেক্সটবিডি ডটকম – এর প্রতিবেদকরা।
বসুন্ধরা সিটি শপিং মল ঘুরে আমাদের প্রতিবেদক ময়ূখ ইসলাম জানান, বিভিন্ন ব্রাণ্ডের ফ্যাসন হাউসসহ রকমারি পোশাকের দোকানগুলোতে ইতোমধ্যে ঈদের নতুন ডিজাইনের পোশাক এনেছে। ক্রেতারাও ভিড় করছেন কেনাকাটার জন্য। তাদের সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, রমজানের শুরু থেকে নগরজুড়ে যে ক্রমবর্ধমান ভোগান্তি শুরু হয়। তা এড়াতেই অনেকে আগেভাগে কেনাকাটা সাড়ছেন।
দুই ছেলে সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে সোমবার বসুন্ধরায় সিটি শপিং মলে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছিলেন ব্যবসায়ী মইনুদ্দিন। নিউজনেক্সটবিডি ডটকমকে তিনি বলেন, ‘রোজার মাসে শহরের অনেক পরিবর্তন আসে। শেষের দিকে ভিড়ও বেড়ে যায়। তখন কেনাকাটায় অনেক সময় নষ্ট হয়। তাই আগেভাগেই কেনাকাটার পর্বটা সেড়ে ফেলছি এবার’। একই দিনে সায়েন্সল্যাবের আড়ং’র শোরুম থেকে পাঞ্জাবি কিনছিলেন মুস্তাক আহমেদ। রোজা শুরুর আগেই ঈদের কেনাকাটার কারণ জানতে চাইলে নিউজনেক্সটবিডি ডটকম’কে তিনিও বলেন, ‘রোজার সময় মার্কেটে মার্কেটে ঘোরাটা কষ্টকর। শরীরও ক্লান্ত থাকে। তাই আগেভাগেই কেনাকাটা সাড়ছি’।
বিক্রেতারা জানান, প্রতিবছরই এক শ্রেনির ক্রেতা রোজার আগে বা শুরুর দিকে কেনাকাটা করে ফেলেন। তাদের কথা মাথায় রেখেই ইতোমধ্যে তারা ঈদ পণ্যগুলো দোকানে তুলেছেন। যদিও আরো কয়েক ধাপে আসবে নতুন নতুন পোশাক।
ফ্যাশন হাউস লুবনানের বসুন্ধরা ব্রাঞ্চ ম্যানেজার একেএম আবু সাঈদ নিউজনেক্সটবিডি ডটকম’কে বলেন, ‘দেশের বাইরে গিফট পাঠাচ্ছেন বলেও আগেভাগেই কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন’। ইতিমধ্যে তারা সব শ্রেনির ক্রেতাদের জন্যই ঈদ পোশাক নিয়ে এসেছেন।
দর্জী বাড়ির ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মোহাম্মদ গোলাম জিলানী নিউজনেক্সটবিডি ডটকম’কে বলেন, ‘এরই মধ্যে আমাদের ঈদ কালেকশনের প্রথম থাপের পোশাক চলে এসেছে’। জিলানীর মতে তাদের মুলত ছেলেদের পোশাকে জোড় বেশি। খুব সাদামাটা প্রিন্টের পাঞ্জাবিই এবার তাদের মূল আকর্ষন।
রোজার আগের শেষ দিনে, অর্থাৎ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডি, কলাবাগান, সায়েন্সল্যাবের বিভিন্ন মার্কেটের বুটিক হাউস ও পোশাকের শোরুমগুলোতে ছিলো উপচে পড়া ভিড়। রোজার শুরুর দিনে, মঙ্গলবারও একইরকম ভিড় দেখা গেছে বেইলি রোড, মালিবাগসহ বেশ কিছু এলাকার বিপণীবিতানগুলোতে।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এমআই/এমএইচ/এএ/এসকে/এসজি