
সৈয়দ ইফতেখার আলম, ঢাকা: আওয়ামী লীগের ঘোষণা ছিল ছুটির দিন ছাড়া অন্যদিনে তাদের কোনো কর্মসূচি থাকবে না। খোলা ময়দানে কোনো সভা, সমাবেশ করা হবে কেবল ছুটির দিনগুলোতেই। তবে কেন বুধবারে মহাসমাবেশ? এই প্রশ্ন সকাল থেকেই ছিল ঢাকাবাসীর মুখে মুখে। প্রশ্নের পালে জোর লাগে তখন- যখন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রকট হতে থাকে গণপরিবহন সংকট। আবার কোনো কোনো রাস্তায় ছিল তীব্র যানজট!
মহাসমাবেশের আশপাশে গাড়ি নেই। শুধু নেতাকর্মীবাহী ট্রাক ও পিকাপ। আর নতুন ঢাকা অর্থাৎ মিরপুর, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, কল্যাণপুরে তীব্র গাড়ির জট। কোথাও গিয়েই নিস্তার নেই ঢাকাবাসীর। তার ওপর আবার অফিস ছুটির পর জনভোগান্তি করুণ মাত্রা ধারণ করে। হোসাইন ইশতিয়াক নামে এক যাত্রী জানান, বেলা ১২টার কাছাকাছি সময়ে এয়ারপোর্ট থেকে বাসে উঠে ৪টায় তিনি ধানমন্ডি পৌঁছেছেন।
তৌহিদুল ইসলাম নামে এক যাত্রী জানান, তিনি কর্মস্থল কারওয়ানবাজার থেকে বাড্ডায় পৌঁছেছেন প্রায় আড়াই দুই ঘণ্টা সময় ব্যয় করে। অথচ এটি ৪৫ মিনিটের পথ।
সভা শুরুর আগে এক রকম জট ছিল। সভার শেষে সেই জট আরও জটিল হয়। এতে বাড়তি যোগ হয় অফিস ফেরত মানুষের স্রোত। সব মিলিয়ে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্তও (এ প্রতিবেদন লেখার সময়) ঢাকা মন্থর।
তবে মানুষের এমন ভোগান্তির জন্য মহাসমাবেশ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আজকে ঢাকার মানুষের কষ্ট হচ্ছে। সেজন্যে আমরা দুঃখিত। এর আগে যেকোনো সমাবেশ বা প্রোগ্রাম আমরা জনগণের কথা চিন্তা করে ছুটির দিনে করেছি। আগামীতেও তাই করবো। তবে আজ ঐতিহাসিক দিন, তাই আজকেই এই আয়োজন করতে হলো। এতে জনদুর্ভোগ হলেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ক্ষমাসুন্দর ও সহনশীল দৃষ্টিতে দেখার আহ্বান জানাচ্ছি।
সম্পাদনা: এম কে রায়হান