
ঢাকা: রাজধানীর মেরুল বাড্ডা থেকে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী সন্দেহে আটক ইসলামিক ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রিন্সিপালসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাকসুদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন, মামলা নং ১৩। ১৯৭৫ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে মামলাটি দায়ের করা হয় বলে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা (ওসি) এম এ জলিল জানান। মামলায় আটক ১৮ জন ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরো ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার সকালে রাজধানীর মেরুল বাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্টের ৮ নম্বর রোডের ২৫ নম্বর বাড়ির মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর স্ত্রী শামসুন্নাহার নিজামীর পরিচালনাধীন ইসলামিক ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে তল্লাশি চালিয়ে ওই ১৮ জন জামায়াত-শিবির কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল নিউজনেক্সটবিডি ডটকম’কে বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর স্ত্রী শামছুন্নাহার নিজামী ওই স্কুলের অধ্যক্ষ। গোপন বৈঠক চলছে এমন খবরের ভিত্তিতে আমরা স্কুলটিতে অভিযান চালিয়ে জামায়াত-শিবিরের ১৮ নেতাকর্মীকে আটক করি। তবে বৈঠকের সময় নিজামীর স্ত্রী সেখানে ছিলেন না।’
এদিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, বাড্ডা থানা পুলিশ ওই ভবনের মালিক, স্কুলের প্রিন্সিপালসহ ২৭ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এর মধ্যে বাড্ডা থানা জামায়াতের আমির ফখরুদ্দীন কেফায়াতুল্লাহ, বাড়ির মালিক বেলাল হোসেন এবং তার স্ত্রী শান্তা বিল্লাল, এক ছেলে ও তার মা হালিমা বেগম, অপরদিকে ফখরুদ্দীনের স্ত্রী সালেমা আক্তার, দুই মেয়ে খাদিজা খাতুন, আয়েশা সিদ্দিকা, দুই ছেলে এবং ওই ভবনের দুই দারোয়ানসহ স্কুলের শিক্ষকদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। দুপুরের দিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর আটক নারীদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলেও জানায় সূত্রটি।
প্রতিবেদন: প্রীতম সাহা সুদীপ, সম্পাদনা: ইয়াসিন
আরো পড়ুন