
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকাঃ আড়তদার-মিলাররা কারসাজি করে চালের দাম বাড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। মন্ত্রী বলেন, ঘাটতি মেটানোর জন্য সরকার ৫ থেকে ৬ লাখ টন চাল বিদেশ থেকে আমদানি করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারি গুদামে চাল কমে গেছে। গত বছর প্রায় ১৩ লাখ টনের মত খাদ্য ছিল, এ বছর সেটা কমে ৭ লাখ টনে নেমে এসেছে। এই যে ৫ থেকে ৬ লাখ ঘাতটি যদি না মেটাতে পারি… বাংলাদেশের মিলাররা, আড়তদাররা, জোতদাররা, যারা বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করে, তারা চালের দাম বাড়ায় এবং এবারও তারা সেই কাজ করছে। মৌসুমের সময় তারা এখনও ধান কিনছে এবং ধান ও চালের দাম দুটোই বাড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি জানান, চাল আমদানিতে ৬২ দশমিক ৫ শতাংশের মত শুল্ক দিতে হত। তা কমিয়ে ২৫ শতাংশ করার কথা রোববারই জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অতটা চালের ঘাটতি আমাদের নাই। কিন্তু এই সুযোগে মিলাররা নানা রকম কারসাজি করে চালের দাম বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছে। আমরা যদি চালের সরবরাহ বিদেশ থেকে নিয়ে আসি, আমার মনে হয় না খুব অসুবিধা হবে।
কৃষিমন্ত্রী জানান, ইতোমধ্যে চাল আসা শুরু হয়েছে, ভারতে সঙ্গে সরকারিভাবে চুক্তি হয়েছে। থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম থেকেও চাল আনার চেষ্টা করা হবে। সব মিলিয়ে সরকারের পূর্ণ উদ্যোগ ও প্রস্তুতি রয়েছে চালের ঘাটতি মেটানোর জন্য।