
ঢাকা: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা মাওলানা আবদুল বারীকে তার পদ থেকে বরখাস্ত ও অপসারণের আদেশ অবৈধ ও বেআইনী ঘোষণার পর হাইকোর্টের রায় বহাল রয়েছে। সরকারের করা আপিল সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ খারিজ করে দেয়ায় হাইকোর্টের রায় বহাল থাকে। ফলে মাওলানা আবদুল বারী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বহাল থাকছেন।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের করা আপিলের ওপর শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির নিয়মিত বেঞ্চ ‘ডিসমিস’ করে এই আদেশ দেন। আদালতে জি এম আবদুল বারীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মো.আবদুল মনতাকিম। সরকারপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি ২০১৫ পর্যন্ত পরপর পাঁচটি মাসিক সভায় অনুপস্থিত থাকার কারণে তাকে ২০১৫ সালের ৩০ মার্চ বরখাস্ত করা হয় এবং পরবর্তীতে একই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর অপসারণ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বরখাস্ত এবং অপসারণের এই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে মাওলানা আবদুল বারী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটে রুল জারির পর ৫মে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি একেএম সাহিদুল হক সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রুল নিষ্পত্তি করে শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে মাওলানা আবদুল বারীকে বরখাস্ত ও অপসারণের আদেশ অবৈধ ও বে-আইনী ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে সরকার। ওই আপিলের শুনানি শেষে সুপ্রিমকোর্ট আদালত সরকারের আপিল খারিজ করেন। ফলে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকে।
আইনজীবী ব্যারিস্টার মো.আবদুল মনতাকিম বলেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের করা আপিল আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকলো। এখন শ্যামনগর উপেজেলা চেয়ারম্যান পদে মাওলানা আবদুল বারীর দায়িত্ব পালনে আর আইনগত বাধা নেই।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এফএইচ/এমএস/ওয়াইএ