
এম কে রায়হান: রোজা আগেই অস্থির চিনির বাজার। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত চিনির দাম কমেছে। অথচ গত সপ্তাহে ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হলেও চলতি সপ্তাহে তা ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকায়।
চাহিদার অতিরিক্ত মজুদ থাকার পরও চিনির দাম বাড়ার জন্য পাইকারি ব্যবসায়ীদের কারসাজি ও সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিল-মালিকরা চিনি সরবরাহ কমিয়ে দেয়ায় খুচরা বাজারে সংকট তৈরি হয়েছে। আর খুচরা বিক্রেতাদের ভাষ্য, সম্প্রতি পাইকারি বাজারে চিনির দাম ব্যাপকভাবে বেড়েছে। বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে ৪০০-৫০০ টাকা।
কাওরান বাজারের পাইকার হাবিব উল্লাহ নিউজনেক্সটবিডিকে বলেন, ‘গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ায় চিনিসহ সব ধরনের পণ্য সরবরাহে বেশি খরচ গুণতে হচ্ছে। এদিকে, ভ্যাটও আগের মতো সরকারের কাছে পরিশোধ করতে হচ্ছে। এসব কারণেই দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে এ দাম এক সপ্তাহের মধ্যে কমে যাবে।’
খুচরা বিক্রেতারাও রোজার বাজারে বিশৃঙ্খলার সুযোগ নেন বলে জানান আরেক পাইকার। মাসুদ নামের এই পাইকারি বিক্রেতা বলেন, ‘রমজান এলেই খুচরা বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে দেয়। এ বিষয়ে সরকারের মনিটরিং টিমের বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে। সরকারের মনিটরিং টিমের প্রতি আমাদের অনুরোধ, তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।’
অন্যদিকে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন খুচরা বিক্রেতারা। তারা বলেন পাইকারি বাজারে দাম বাড়তি তাই তারাও দাম বারিয়েছেন।
এ বিষয়ে ট্যারিফ কমিশনের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম বলেন, বাজারে চিনি যথেষ্ট পরিমাণে মজুদ রয়েছে। কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ডলারের দাম বাড়ার কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও চিনির দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। এরপরও রমজান উপলক্ষে প্রতি সাতদিন পরপর বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। শেষ সপ্তাহের বাজারদর মনিটরিং করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হবে। সেখান থেকেই অভিযান চালিয়ে ওই ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।