
মুম্বাই: যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে বলিউড কিং খান শাহরুখকে আবারো আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।শুক্রবার ঘটে এই ঘটনা। খবরটি এই দিন সকালে নিজেই টুইট করে জানান শাহরুখ।
মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে শাহরুখ লিখেছেন, ‘বিশ্বের নিরাপত্তাব্যবস্থার প্রতি আমি পুরোপুরি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু মার্কিন ইমিগ্রেশনে আমাকে প্রতিবার আটকে দেয়া সত্যিই দুঃখজনক।’
প্রথম টুইটের ১৪ মিনিটের মাথায় শাহরুখ লিখেছেন, ‘সবচেয়ে আনন্দময় দিক হলো, সত্যিকারের কিছু দারুণ পোকেমনের হাতে আটকে আছি।’
এরপরই ভক্তরা যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে টুইট করতে থাকেন। এদিকে, বিমানবন্দরে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ায় শাহরুখের কাছে এক টুইট বার্তায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল।
তবে শাহরুখের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগে ২০১২ সালে নিউইয়র্ক বিমানবন্দরে প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে ছিলেন এই বলিউড তারকা। ওই ঘটনার জন্য সে সময় আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস ও সীমান্তরক্ষা কর্তৃপক্ষ।
২০০৯ সালেও নিউ জার্সির নিউয়ার্ক লিবার্টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন বলিউড ‘বাদশা’ শাহরুখ। কম্পিউটারের সতর্ক তালিকায় নাম উঠে এলে তাকে আটকে দেয়া হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের উদ্দেশ্য নিয়ে সে সময় তাকে নানা প্রশ্ন করা হয়েছিল। এমনকি তার ব্যাগও তল্লাশি করা হয়। প্রায় ঘণ্টা খানেকের মধ্যে তাকে কোথাও ফোন করতে দেয়া হয়নি।
এসব ঘটনায় বিদ্রূপ করে শাহরুখ বলেছিলেন, ‘আমার যখনই অহংকার বেড়ে যায়, তখনই আমি যুক্তরাষ্ট্রে বেড়াতে যাই। আর এই ইমিগ্রেশনের লোকগুলো আমার তারকাখ্যাতি দূর করে দেয়।’ সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/আইকে/এসজি