
ডেস্ক: বছরের শুরুতেই ঊর্ধ্বমুখী ছিল বাজার। পুরো জানুয়ারি মাসে অব্যহত ছিল এ ঊর্ধমুখী ধারা। কিন্তু মাস শেষ না হতেই শুরু হয় ধারাবাহিক পতন। ফেব্রুয়ারির শুরুতেই তা বড় পতনে রূপ নিয়েছে। অবশ্য বাজার সংশ্লিষ্ট ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্মকর্তারা এ দরপতন ‘সাময়িক’ বলে মন্তব্য করেছেন। শিগগিরই এ অবস্থার অবসান হবে বলে আশা করছেন তারা।
বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজারের প্রধান সূচকের পতন হয়েছে ২ শতাংশ। এ দিন লেনদেন হওয়া ৮৪ শতাংশ শেয়ারের দর কমেছে। জানুয়ারির তুলনায় লেনদেন নেমে এসেছে অর্ধেকে।
বৃহস্পতিবার দুই শেয়ারবাজার ডিএসই ও সিএসইতে ৭৯১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। জানুয়ারি মাসের ২৩ কার্যদিবসে দৈনিক গড়ে ১ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়। মাত্র সাত কার্যদিবস আগেই এ বাজারে লেনদেন ছিল ২৩শ’ কোটি টাকার শেয়ার।
গতকালের লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইতে ২৯২ কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে অন্তত ৮০টি লেনদেনের প্রায় পুরো সময়ে বুধবারের তুলনায় দর হারিয়ে কেনাবেচা হয়। শেয়ারদর, সূচক ও লেনদেনে সার্বিক নিম্নমুখী ধারার জন্য ব্যক্তি শ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের অধিক মাত্রায় শেয়ার বিক্রির প্রবণতাকে দায়উ করেছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন, আরও দরপতনের ভীতি থেকে অনেকে শেয়ার বিক্রি করছেন।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি ঘোষণা নিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা ভীতি দেখা গিয়েছিল। অবশ্য গত মঙ্গল ও বুধবার তা কিছুটা প্রশমন হয়। অনেকটা বৃদ্ধির পর কিছুটা দর সংশোধন কাঙ্ক্ষিত। গতকালের দরপতনও উদ্বেগজনক নয় বলে দাবি করেন তারা। কর্মকর্তারা বলেন, শেয়ারদর হ্রাসের এ ধারা সাময়িক।
সাম্প্রতিক শেয়ার লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত নভেম্বর থেকে ক্রমে বাড়ছিল তালিকাভুক্ত অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার। সঙ্গে লেনদেনও বাড়ছিল। তবে জানুয়ারির শুরু থেকে তা লাগামহীন হয়ে পড়ে। শেয়ারদর, সূচক ও লেনদেন বৃদ্ধির এ ধারা টানা চলে গত ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারের দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার স্বার্থে হঠাৎ এ উত্থানে লাগাম টানে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। সংস্থাটির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ হস্তক্ষেপের কারণে গত ২৩ জানুয়ারি থেকে দর হারাতে শুরু করে অধিকাংশ শেয়ার। মাঝে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে গিয়ে গভর্নর ফজলে কবির শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে- এমন ঘোষণার পর দরপতনে নতুন মাত্রা পায়।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা: প্রণব