
ঢাকা: আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাককে বিশ্বাসঘাতক বলে মন্তব্য করেছে আওয়ামী ওলামা লীগ।
রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ওলামা লীগ নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অমার্জনীয় বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাসের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে আব্দুর রাজ্জাক তার বিশ্বাসঘাতকতার চেহারা উন্মোচন করেছে মিডিয়ার কাছে। আলোচনায় তিনি বলেছেন ‘সময়-সুযোগ পেলে রাষ্ট্রধর্ম তুলে দেয়া হবে’ এ বক্তব্য আওয়ামী লীগের নয়। তবে এ ধরণের বক্তব্য দিয়ে আব্দুর রাজ্জাক ধর্ম-দেশ ও দলবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেছেন।
বিবৃতিত স্বাক্ষর করেন আওয়ামী ওলামা লীগের কার্যকরী সভাপতি আব্দুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সহ-সভাপতি হাফেজ মুসতফা চৌধুরী, মুফতি মা’ছুম বিল্লাহ নাফেয়ী ও মাওলানা শোয়াইব আহমদ গোপালগঞ্জী ও হাফেজ মাওলানা আব্দুল জলীল।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এ বক্তব্য আব্দুর রাজ্জাকের ব্যক্তিগত অপলাপ। কারণ, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিলো কোরআন ও সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন পাস করা হবে না।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ ক্ষেত্রে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বিপরীতে এই বক্তব্য দিয়ে আব্দুর রাজ্জাক নিজেকে চরম সাম্প্রদায়িক, দেশবিরোধী, দলবিরোধী এবং উগ্রহিন্দু সন্ত্রাসবাদীদের শ্রেণীভুক্ত প্রমাণ করলেন এবং আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করলেন।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, এই আব্দুর রাজ্জাক ৯৫ শতাংশ মুসলমান জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে ফৌজদারী অপরাধ করেছেন। এই বিতর্কিত আব্দুর রাজ্জাক দুর্নীতির দায়ে মন্ত্রীত্বও হারিয়েছিলো। তাছাড়া আদালত কর্তৃক নিষ্পত্তিকৃত এই রাষ্ট্রধর্মের ইস্যু নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় তিনি আদালত অবমাননা করেছেন।
সাবেক পাটমন্ত্রী আব্দুল লতীফ সিদ্দিকী ইহুদী নাছারাদের খুশী করতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্য দিয়ে মন্ত্রীত্ব ও দল থেকে বহিষ্কৃত হয়। নেতৃবৃন্দের প্রশ্ন, আব্দুর রাজ্জাক কাকে খুশী করতেএ বক্তব্য দিলেন?
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, নেতৃবৃন্দ এই কুলাঙ্গারকে দল থেকে বহিষ্কারসহ রাষ্ট্রধর্ম অবমাননার ফলশ্রুতিতে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।
উল্লেখ্য, শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি গোল টেবিল বৈঠকে আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সংবিধান সংশোধনের পরও রাষ্ট্র ধর্মটাকে একটা কৌশল হিসেবে রেখে দেয়া হয়েছে। সুযোগ পেলেই সংবিধান থেকে উঠিয়ে দিয়ে সম্পূর্ণরূপে একটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে।বিবিসির এক সাক্ষাৎকারেও আমি বলেছি ‘ইসলাম রাষ্ট্র ধর্ম’হতে পারে না। বাংলাদেশ হবে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র।’
প্রতিবেদক: ইয়াছিন রানা, সম্পাদনা: জাহিদ