
মিশুক মনির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: নাসিরনগরে হামলার প্রতিবাদে সারাদেশ স্বোচ্চার। স্বোচ্চার প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও। ঢাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের পরে আবারো থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা থিয়েটারের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানালো।
নাসিরনগরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্ট্যাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘আমি মালাউন বলছি’নামে এক থিয়েটার মঞ্চস্থ হয়েছে।
সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী ‘আমি মালাউন বলছি’থিয়েটারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মঞ্চস্থ হয়।
মুখে কালো কাপড় বেঁধে হামলার প্রকৃত চিত্র ফুটিয়ে তোলে শিক্ষার্থীরা। গায়ে কালো কাপড় আর মুখে প্রার্থনার ধ্বনি বাদ্যযন্ত্রের তালে মুখরতি হয়ে উঠে কলাভবনের সামনের অংশ। উৎসুক জনতার করতালি বাড়তি মাত্রা যোগ করে। সাম্প্রদায়িক হামলার বিরুদ্ধ স্বোচ্চার দেশবাসীকে আরো স্বোচ্চার করার জন্য এই আয়োজন বলে জানিয়েছেন আয়োজক ঢাবির থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স স্ট্যাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে থিয়েটারের মূল থিমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে হামলার সময়কার নির্যাতন, অগ্নিকাণ্ড ও প্রতিমা ভাঙচুরের চিত্র। উৎসুক জনতার চোখে এই চিত্র যেন প্রকৃত চিত্রের কাছে নিয়ে যায়।
থিয়েটারে দেখতে আসা ঢাবি শিক্ষার্থী মিনহাজুল আকরাম আকাশ নাসিরনগরের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘এই থিয়েটারে হামলার চিত্র এমনভাবে ফুটিয়ে তুলেছে, যে চিত্র দেখে চোখের পানি চলে আসে।’
এদিকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উপর হামলা, মূর্তি ভাঙচুর ও আগুনের চিত্র রূপক অর্থ তুলে ধরে থিয়েটারে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা। হামলার সময়ে কান্নার ধ্বনি সত্যিকার অর্থেই প্রকৃত চিত্রের কাছে নিয়ে যায় উৎসুক জনতাকে। সাম্প্রদায়িকতা দেশ থেকে চিরতরে চলে যাক এই শ্লোগানে মুখরিত হয় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ।
থিয়েটারের শেষাংশে ‘মোরা একটু ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি’শিরোনামে গানের মাধ্যমে শেষ হয় সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী এই থিয়েটার।
সম্পাদনা: জাহিদ