
রাজশাহী: জ্যৈষ্ঠ মাসকে বলা হয় মধু মাস। মধু মাসের প্রধান ফল আম। আর আমের কথা আসলেই রাজশাহী ও চাপাইনবাবগঞ্জের কথা ঘুরে ফিরে চলে আসে। এই দুই জেলার সর্বত্র কয়েক দিন ধরে আমের বিপুল সরবরাহ ও ব্যাপক বেচাকেনায় কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠছে।
মার্কেট, হাট ও অন্যান্য গ্রোথ সেন্টারের সর্বত্র আমের বেচা কেনায় গোটা এলাকার গ্রামীণ অর্থনৈতিক পরিবর্তন এসেছে।
এখন যদি কেউ জেলাগুলো সফর করেন তা হলে তারা প্রচুর আমের সরবরাহ দেখতে পারেন, অনেক ক্রেতা ও বিক্রেতার ভিড় দেখা যাবে, তারা আমের দর কষাকষি নিয়ে ব্যস্ত আছেন। প্রচুর আম পাইকারি ও খুচরা বিক্রির কারণে এলাকার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে অর্থেও লেনদেন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও গোটা দেশ থেকে আসা ক্রেতারা রাজশাহী নগরী ও পাশ্ববর্তী আম বাজারে ভিড় করছেন। গোপাল ভোগ, ল্যাংড়া, খিরশাপাতি ও মোহনভোগ প্রতি মণ সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে।
আমের এই মৌসুমী ব্যবসায় প্রায় ৫০ হাজার লোক আম আহরণ থেকে বিক্রি পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকাণ্ডে যুক্ত রয়েছেন। আমের ঝুড়ি তৈরি, আম বাছাই ও প্যাকেজিংসহ আনুসঙ্গিক কার্যক্রমে এরা যুক্ত।
ফল গবেষণা কেন্দ্রের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আবদুল আলিম বলেন, মধ্য মে থেকে আমের মৌসুম জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, মোট উৎপাদনের ৭৮ শতাংশ আসে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে। এর মধ্যে মোট উৎপাদনের ৫০ শতাংশ আসে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে।
ড. আলিম বলেন, অনুকূল আবহাওয়ার কারণে উৎপাদন এ বছর বেড়েছে তবে বাইরের ক্রেতা কম হওয়ায় আম চাষীরা প্রত্যাশিত দাম পাচ্ছেন না।
রাজশাহী থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে বানেশ্বর বাজারের আম ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম জানান, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন প্রায় ১০০ ট্রাক আম সরবরাহ করা হচ্ছে।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/প্রতিনিধি/জাই