
মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ‘আরব বসন্ত’ নামে পরিচিত গণআন্দোলনের কারণে ২০১১ সালের পর থেকে এসব অঞ্চলে ছয়শো ১৪ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
ইউএন ইকোনমিক অ্যান্ড সোশাল কমিশন ফর ওয়েস্টার্ন এশিয়া জানায়, ক্ষতির এ পরিমাণ ২০১১ থেকে ২০১৫ সালে মধ্যে ওই এলাকার মোট দেশজ উৎপাদনের ছয় শতাংশ।
উল্লেখ্য, পুলিশের দুর্নীতি ও দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদে মোহাম্মদ বোয়াজিজি নামের এক তরুণের আত্মাহুতির মধ্য দিয়ে ২০১০ সালের ১৮ ডিসেম্বর তিউনিসিয়ায় এ আন্দোলনের সূচনা। পরে তা গণঅভ্যুত্থানের রূপ পায়। ২০১১ সালের ১৪ জানুয়ারি দেশটির প্রেসিডেন্ট জিনে আল আবিদিন বেন আলির ২২ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। এ পথ ধরে উত্তর আফ্রিকা আর মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশেও শুরু হয় আন্দোলন, যা ‘আরব বসন্ত’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। এ আন্দোলনের ফলে তিউনিসিয়ার পর মিশর, লিবিয়া ও ইয়েমেনেও স্বৈরশাসকের পতন দেখে বিশ্ব।
আরব বসন্তের আগে ওই অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এবং পরের চার বছরে অর্জিত প্রবৃদ্ধি বিচার করে ক্ষতির এ পরিমাণ হিসাব করেছে জাতিসংঘের সংস্থাটি। ওই অঞ্চলের যেসব দেশে আন্দোলন হয়নি, কিন্তু আরব বসন্তের কারণে শরণার্থী, রেমিটেন্স ও পর্যটনের দিক দিয়ে ভুগতে হয়েছে, তাদের ক্ষতির হিসাবও এর মধ্যে রয়েছে।
একই সময়ে সিরিয়ায় শুরু হওয়া সরকারবিরোধী আন্দোলন এখন জটিল গৃহযুদ্ধের রূপ পেয়েছে। এখানে জড়িয়ে গেছে বিভিন্ন পরাশক্তি। জাতিসংঘের হিসাবে, ২০১১ সাল থেকে সিরিয়ার জিডিপি ও মূলধনী ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় আড়াইশো বিলিয়ন ডলার। ইউএন ইকোনমিক অ্যান্ড সোশাল কমিশন ফর ওয়েস্টার্ন এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আরব বসন্তের মধ্য দিয়ে যেসব দেশে ক্ষমতার পরিবর্তন হয়, এসব দেশের সরকার আন্দোলনের মূল কারণগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে ব্যর্থ হয়।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা: আবু তাহের