
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) দায়িত্ব গ্রহণের এক বছরের মাথায় শনিবার নাগরিক সংলাপে সুশীল সমাজের মুখোমুখি হয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে নাগরিক সংলাপের আয়োজন করে চট্টগ্রামের দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
সংলাপে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে মেয়র আ জ ম নাছির বলেন, ‘শুরুতে চসিকের কার্যক্রম আমাকে খুব পিড়া দিয়েছে, অনেক কষ্ট পেয়েছি, তারপরও আমি থেমে নেই,আমি কঠোর হয়েছি,সামনে আরো কঠোর হবো।’
দৈনিক সুপ্রভাতের উপদেষ্টা সম্পাদক, কবি ও সাহিত্যিক আবুল মোমেনের সঞ্চালনায় আলোচক হিসেবে মেয়র আ জ নাছির উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, মেয়র হওয়ার পর আমি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছি। উত্তারাধিকার সূত্রে পাওয়া নানা অনিয়ন ঠিক করতে সময় লাগছে। রাতারাতি সব কিছু ঠিক করা যায় না।
তিনি আরো বলেন, চসিকের প্রথম ও প্রধান আয় হলো রাজস্ব, যেখানে আমি দায়িত্ব গ্রহণ করার আগে অনেক অনিয়ম দুর্নীতি হতো। চসিক রাজস্ব নির্ধারণ করে না আদায় করে মাত্র, এটা নির্ধারণ করে সরকার।’
তিনি বলেন, ‘যেখানে ওয়াসা ও বিদ্যুৎ বিভাগ বিলের জন্য লাইন কাটতে পারে সেখানে চসিক কেন ব্যবস্থা নিতে পারবে না।’
মেয়র বলেন, ‘কোনো বিল বোর্ড চট্টগ্রাম শহরে আর ওঠবে না। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের তিনটি বড় কাজ হলো রাস্তাঘাট সংস্কার করা, নদী নালা সংস্কার করা শিক্ষার মান উন্নত করা। সেসব কাজ সঠিকভাবে করার চেষ্টা করে যাচ্ছি তার সাথে মাস্টার প্লানের কাজও করে যাচ্ছি যা আগে অনেক মেয়র এসেছিল তারা কেউ করেনি।’
মেয়র জানান, নভেম্বর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে রাস্তার সকল ধরনের কাজ সমাপ্ত করার জন্য প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের সাথে কথা হয়েছে। নগরীতে কাঁচা রাস্তার সংখ্যা প্রায় ৩২৫টি। এর মধ্যে ৮৭টি রাস্তাকে পাকা করা হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যে ৩২-৪০ ভাগ কাজ শেষ করা হবে বাকি ৩০ ভাগ কাজ ধাপে ধাপে হবে।
ইঞ্জিনিয়ার এম আলী আাশরাফের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘জলাবদ্ধাতা হলো চট্টগ্রামের প্রধান সমস্য যা উত্তরাধীকার সূত্রে পাওয়া গেছে। অনেক কারণে নগীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। তাই সমাধানের চেষ্টা করছি।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এসএন/এমআই