
ডেস্ক: ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা স্থান পাবে কিনা তাই নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ঘোর সংশয়। গত বিশ্বকাপ এবং পর পর দুই কোপা আমেরিকান ফুটবলের শিরোপা হাতছাড়া হয়েছে নি:শ্বাস দূরত্ব থেকে। অথচ এখন একি অবস্থা এদগার্দো বাউজার শিষ্যদের!, মেসি-ডি মারিয়া-আগুয়েরোদের! আগামী রাশিয়া বিশ্বকাপে তারা স্থান পাবে কিনা তাই নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ঘোর সংশয়। অবশ্য এখনও শেষ কথা বলার সময় আসেনি। তবুও অগনিত ভক্ত সমর্থকদের হতাশাতেই নিমজ্জিত করে চলেছে তারা।
এই অঞ্চলের দশটি দল রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে খেলবে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা চারটি দল সরাসরি রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। আর পঞ্চম দলকে প্লে অফ খেলতে হবে ওশিয়ানিয়া অঞ্চলের সেরা দলের সঙ্গে। ইতিমধ্যে এই অঞ্চলের সবগুলো দল ১১টি করে ম্যাচ খেলে ফেলেছে। আর ৭টি করে ম্যাচ বাকি রয়েছে। ১১ ম্যাচ শেষে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ব্রাজিল।
এর আগের ১১টি ম্যাচে মাত্র ৪ টিতে জয়ের দেখা পেয়েছে শক্তিশালী আর্জেন্টিনা। আর ড্র ৪টিতেই। এক মেসিই যে দলের চেহারা পাল্টে দিতে পারে তার প্রমাণ জয়ী ৩ ম্যাচেই তার উপস্থিতি। হাতে রয়েছে আরও ৭টি ম্যাচ। পয়েন্টের হিসাব বাকি পাক্কা ২১। তাই ফিরে আসার সুযোগ অবারিত। কিন্ত টানা ৪ ম্যাচ জয়শুণ্য থাকাটাতো অশুভ বার্তাই দেয়।
পয়েন্ট তালিকায় এখনও ছয়ে থাকলেও আগামী বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার যাত্রার আশা এখনও মলিন হয়নি। তবে এই অবস্থানের জন্য পেরুকে অবশ্যই ধন্যবাদ দিবে আর্জেন্টিনা। কারণ প্যারাগুয়েকে তাদের মাঠেই ৪-১ গোলে না হারালে যে ৭ নম্বরেই যেতে হতো আকাশী-নীলদের।
২৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থানে ব্রাজিলের সাথে দ্বিতীয় উরুগুয়ের পয়েন্ট ব্যবধান মাত্র ১। আর ৩ এ থাকা কলম্বিয়া, চার-পাচে ইকুয়েডর চিলির সাথে আর্জেন্টিনার পয়েন্ট পার্থক্য ২ আর ১। অপরদিকে সাত-আটে থাকা প্যারাগুয়ে-পেরুর সাথে আর্জেন্টিনার পয়েন্ট পার্থক্যও মাত্র ১-২। তাই জয় যেমন এনে দিতে পারে কাঙ্খিত স্থান তেমনি পা হড়কালেই বিপদ আরও বাড়বে।
এমন আশঙ্কার মাঝেই একটা প্রশ্ন স্বভাবতই সবার মনে উঁকি দিচ্ছে। শেষ কবে বিশ্বকাপ বাছাই থেকেই বাদ পড়েছিলো আর্জেন্টিনা। তেমন দুর্ঘটনা দেখা গিয়েছিলো ১৯৭০-এর বিশ্বকাপে।
তাই ১৫ নভেম্বর নিজেদের মাঠ সান জোনে কলম্বিয়ার বিপক্ষে অগ্নিপরীক্ষায় নামবে আর্জেন্টিনা।
সম্পাদনা: জাবেদ