
ঢাকা: রোজার বাকি আর মাত্র তিন দিন। প্রতিবারের মত এবারো রমজান মাসকে কেন্দ্র করে লাগামহীনভাবে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বিশেষ করে যেসব পণ্য রমজানে বেশি প্রয়োজন হয়। এমন পণ্যের দাম হু হু করে বাড়ছে।
ছোলা, রমজান মাসের অন্যতম প্রয়োজনীয় খাবারের একটি। যা গত রমজানের তুলনায় এ বছর বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বাড়তি দামে। প্রতি কেজি ছোলা (লাল) ৮৫ থেকে ৯৫ টাকা, ছোলা (সাদা) ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
মসুর ডাল (দেশি) ১৪০-১৫০ টাকা, ভারতীয় ১০০ টাকা। মুগ ডাল ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বেড়েছে বেসনের দামও। ছোলার তৈরি বেসন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজিতে। এ সপ্তাহে প্রতিকেজি চিনি ৬০-৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজিতে। ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকা। দেশি রসুন ১০০ থেকে ১৩০ টাকা, রসুন (মোটা) ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন জানান, রমজানের বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। ছোলার দাম তো এখন বাড়বেই। মানুষের চাহিদা বাড়লে জিনিসের দাম বাড়ে।
এ সপ্তাহে গরুর মাংস (বাজারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪২০ টাকায়। এছাড়া খাসির মাংস ৬০০-৬২০ টাকায় টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে কারওয়ান বাজারের তুলনায় স্থানীয় খুচরা বাজারগুলোতে প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি করা হচ্ছে সবজি। ঢেঁড়স, মুলা, ঝিঙা, জালি, বরবটি, ধুন্দল, পটল, টমেটো বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকা দরে।
দ্বিগুণ দামে সবজি বিক্রির কারণ জানতে চাইলে মোহাম্মদপুরের সবজি বিক্রেতা আফজাল কবির বলেন, ‘কারওয়ান বাজারে পাইকারি বিক্রি হয়। ওখান থেকে আনতে পরিবহন আর লেবার খরচ লাগে। এসব কারণে আমাদের এখানে বেশি দাম দিয়ে বিক্রি হয়।’
মোহাম্মদপুরের কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, বেগুন কেজিপ্রতি ৪০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, ধনেপাতা ১৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ৭০-৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, কাঁচাকলা ৩০ টাকা হালি, লেবু ২০ টাকা হালি, মিষ্টি কুমড়া (ছোট) ৩০ টাকা পিস, লাউ প্রতি পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে আলুর। প্রতিকেজি আলু ২০ টাকা।
এমন অবস্থায় ক্রেতারা বলছেন, অধিকাংশ দোকানে মূল্যতালিকা নেই। বাজার মনিটরিং এর অভাবে রোজাকে সামনে রেখে বিক্রেতারা পণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন। টাউনহল বাজারের ক্রেতা খালেকুর রহিম বলেন, ‘আমরা যারা ছোট চাকুরীজীবী তারা এই বাজারের পণ্য কিনতে হিমসিম খাচ্ছি। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে তো রমজানে ডাল-ভাত খেয়েই থাকতে হবে।’
রাজধানীর টাউনহল বাজার ঘুরে দেখা যায়, এ সপ্তাহে মুরগির দাম বাড়েনি। বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা ও লেয়ার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সাইজ অনুসারে দেশি মুরগি ২০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এমআই/এমএস/এসজি