
চট্টগ্রাম: বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী এবং ইসরাইলী এমপি মেন্দি সাফেদীর বৈঠকের পর দেশে গুপ্তহত্যা বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইজিপি একেএম শহুদুল হক। রোববার চট্টগ্রাম পুলিশ লাইনে এক সূধী সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দেশে এখন ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দল ক্ষমতায়, অথচ বিশ্বের কাছে দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে এখানে সংখ্যালঘু নির্যাতন চলছে, এটাকি আপনারা কেউ বিশ্বাস করেন।’
অথচ চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী ইসরাইলীদের সাথে বৈঠক করে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচার দিয়েছে, মার্চে তাদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে, এই বৈঠকের পর দেশে গুপ্তহত্যা বেড়েছে, উল্লেখ করেন তিনি।
আইজিপি বলেন, ‘যাদের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই যারা সারা বিশ্বে মুসলামানদের উপর নির্যাতন করছে তাদের কাছে বিএনপি জামায়াত সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচার দিয়েছে।’
শহুদুল হক বলেন, ‘গুপ্তহত্যাকারীরা রেহাই পাবে না, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে সারাদেশে অনেক মানুষ মারা হয়েছে, আমাদের ১৭ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে, আমরা কিন্তু থেমে যাইনি, এবারো আমরা থামবো না, গুপ্তহত্যাকারীদের দেশ থেকে উৎখাত করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের মনোবল অটুট আছে, জঙ্গি সন্ত্রাসীদের বিচরন করতে দেয়া হবে না, আমরা শোককে শক্তিতে পরিনত করে সামনে এগিয়ে যাবো।’
সূধী সমাবেশ শেষে শহুদুল হক কথা বলেন সাংবাদিকদের সাথে।
এসময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশে বর্তমানে দুটি জঙ্গি সংগঠন সক্রিয় আছে, তা হচ্ছে জমিয়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) এবং আনসার উল্লাহ বাংলা টিম বা আনুসারুল ইসলাম। ২০০৪ সালে জঙ্গিদের যে তথ্য ও তালিকা করা হয়েছে বর্তমানে তার ভিত্তিতেই অভিযান চলছে।’
আইজিপি বলেন, ‘দেশের সব জেলায় জঙ্গি সংগঠনের নেটওয়ার্ক নেই, তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী বলা যাচ্ছে দেশীয় জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেছে, এটা আন্তর্জাতিক চক্রান্ত হতে পারে।’
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল আলম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার রহুল আমিন, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো.শফিকুল ইসলাম, সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, প্যানেল মেয়র জোবাইদা নার্গিস খান, বিজিএমইএর প্রথম সহ সভাপতি মঈনউদ্দিন আহমেদ মিন্টু, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার ও স্বাচিপ নেতা ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এসএন/জাই