
ঢাকা: দেশের শীর্ষ কমার্শিয়াল ফটোগ্রাফারগণ আয়নাবাজি চলচ্চিত্রের পাইরেসির বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ জানিয়েছেন। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে, শনিবার তারা সবাই টিকিট কেটে হলে গিয়ে চলচ্চিত্রটি উপভোগ করেন।
আয়নাবাজি চলচ্চিত্রটির সিনেমাটোগ্রাফার রাশেদ নিজাম, সিনিয়র ফটোগ্রাফার আক্কাস মাহমুদ, শফিকুল ইসলাম কিরন, ডেভিড বারিকদার, আবু নাসের ও ফারহান আহমেদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ কমার্শিয়াল ফটোগ্রাফিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিপিএস) শতাধিক কমার্শিয়াল ফটোগ্রাফার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আয়নাবাজি দেখা শেষে আক্কাস মাহমুদ ছবির সিনেমাটোগ্রাফার রাশেদ নিজামের নিপুন ফটোগ্রাফির ভুয়সি প্রশংসা করে বলেন, অসাধারণ কাজ করে রাশেদ আমাদের ফটোগ্রাফি ইন্ড্রাস্টির ইমেজ বৃদ্ধি করেছেন। তাই রাশেদকে আমরা অভিনন্দন জানাই।
তিনি আরো বলেন, আয়নাবাজি ছোট পর্দায় দেখার ছবি নয়। আমাদের মধ্যে অনেকের হাতে পাইরেটেড ছবি আসলেও আমরা তা দেখিনি। কারণ এভাবে পাইরেটেড ছবি যদি আমরা ঘরে বসে দেখতে থাকি তাহলে-আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচবে কি ভাবে? তাই আমরা সকলে মিলে পাইরেটের প্রতিবাদে হলে এসে আয়নাবাজি দেখার সিদ্ধান্ত নেই।
ডেভিড বারিকদার আয়নাবাজির সিনেমাটোগ্রাফার রাশেদ নিজামিকে আমাদের অহংকার উল্লেখ করে বলেন, পাইরেটের বিরুদ্ধে সবাই দল বেঁধে পকেটের টাকা খরচ করে আয়নাবাজি দেখেছি। এর চেয়ে আর কী ভাবে আমরা প্রতিবাদ করতে পারি? এই পাইরেটবাজদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা না নিলে আয়নাবাজির মতো ছবি আর হবে না। আমরা ফটোগ্রাফারা সব সময় ঠকেছি, আমাদের তোলা ছবি বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের অনুমতি ও পারিকশ্রমিক ছাড়া ব্যবহার করে আসছে আমরা এরও প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাই।
মুক্তির পর থেকেই দর্শকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে অমিতাভ রেজার চলচ্চিত্র ‘আয়নাবাজি’। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ছবিটি মুক্তির পর থেকেই ভালো ব্যবসা হচ্ছে এমনটাই দাবি ছিল প্রেক্ষাগৃহ মালিকদের।
কিন্তু গত ২০ অক্টোবর মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রবি টেলিভিশনে আপলোড করা হয় ছবিটি। সেখান থেকেই অনলাইনে ফাঁস হয়ে যায় ‘আয়নাবাজ’ ছবিটি।
এরপর বিভিন্নভাবে অনেকেই সেটা লাইভ করে দেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। এতে ছবিটি ছড়িয়ে পড়ে ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন ও ট্যাবে। এ কারণে ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা করছেন সিনেমা হল মালিকরা।
সম্পাদনা: জাহিদ