
ঢাকা: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষ বলে আউট হয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দারুণ ছন্দে থাকা এ ব্যাটসম্যানের দায়িত্বজ্ঞানহীন আউট আহত করেছিল সমর্থকদের। একইভাবে রোববার তৃতীয় দিন লাঞ্চ বিরতির আগ মুহূর্তে আদিল রশীদকে উইকেট উপহার দিয়ে মাঠ ছাড়েন সাব্বির রহমান। ফলে ২৪৪ রানের লিড নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় টাইগাররা। বিরতিতে থেকে ফিরে মাত্র ৩৮ বল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল টাইগারদের ইনিংস। ৩৮ বলে শেষ তিন উইকেট হারিয়ে ২৮ রান জমা করে নিজেদের স্কোর বোর্ডে। ফলে স্বাগতিকদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৯৬ রান। জয়ের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন মাত্র ২৭৩ রান। সফরকারীদের হয়ে আদিল রশীদ চারটি ও স্টোকস তিন উইকেট তুলে নিয়েছেন।
এরআগে, দিনের শুরুটা ভালোই করেছিলেন আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস (৫৯*) আর নতুন ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান। এ জুঁটির উপর দায়িত্বটা ছিল অনেক বেশি। দেখে-শুনেই শুরু করেছিলেন তারা। ঠাণ্ডা মাথায় খেলতে থাকেন। স্কোর বোর্ডে তাদের অবদান ৪৮। হঠাৎ করেই যেনো আবারো ছন্দপতন ঘটে টাইগার শিবিরে। দলীয় ২০০ রানে মঈন আলীর ঘূর্ণী বলের মায়াজালের ফাঁদে পড়েন ওপেনার ইমরুল। ১২০ বলের খরচায় তার সংগ্রহ ছিল ৭৮ রান। ইমরুলের বিদায়ের পর সাকিব-মুশফিকের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে ছিল টাইগার সমর্থকরা। তবে দুজনই হতাশ করলো। আদিল রশিদের বলে বোল্ড হয়ে সাকিব (৪১) বিদায় নিলে স্টেডিয়ামে নেমে আসে পিনপতন নীরবতা। ৮১ বলে ৬ বাউন্ডারি দিয়ে নিজের ইনিংস সাজান সাকিব। পরের ওভারেই স্বাগতিক শিবিরে আবারো আঘাত হানেন স্টোকস। এবার তার শিকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। কুককে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি (৯)। এরপর সাব্বির রহমানের সাথে দলের হাল ধরতে মাঠে আসেন শুভাগত হোম। এ জুঁটি ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট চালাতে শুরু করেন। রানের চাকা দ্রুত বাড়াতে থাকেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য সাব্বিরের (১৫)। লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগের বলেই আদিল রশীদের শিকারে পরিনত হন তিনি। লাঞ্চ বিরতীতে যাওয়ার আগে টাইগারদের সংগ্রহ ছিল ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬৮ রান।
বিরতি থেকে ফিরে এসে শুভাগতর সাথে জুঁটি গড়েন তাইজুল ইসলাম। ৫ রানের মধ্যেই ফিরে যান টেলএন্ডার এ ব্যাটসম্যান। আজও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। করেছেন মাত্র ২ রান। আর ৭ রান করে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফিরেছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। শুভাগত ছিলেন ২৫ রানে অপরাজিত। ২৮ বলে চারটি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। তাকে সঙ্গ দিতে পারলে আজ হয়তো সফরকারীদের সামনে টার্গেট ৩০০ রান ছুঁড়ে দেয়া সম্ভব হতো। কিন্তু মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার কারনে সেটা আর সম্ভব হয়নি।
প্রতিবেদন: কবির, সম্পাদনা: মাহতাব