
ঢাকা: ইউরো-২০১৬ তে ইংল্যান্ড-রাশিয়া ম্যাচটিকে ঘিরে উত্তেজনার পারদ বাড়ছিল ম্যাচের আগের দিন থেকেই। দুই দলের ফুটবলাররা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেতে উঠেছিলেন কথার লড়াইয়ে। খেলোয়াড়দের সেই কথার লড়াই ম্যাচ শুরুর আগে সমর্থকরা টেনে আনেন হাতাহাতিতে। ফলে খেলার আগেই একদফা খেলা হয়ে যায় ইংলিশ-রাশান সমর্থকগোষ্ঠীর মধ্যে, যেখানে ইংলিশদের হাতে আহত হোন দুজন রাশান সমর্থক। ফ্রান্সের রায়ট পুলিশ এসে খেলা থামায়!
তবে ইংলিশ সমর্থকদের হাতে রাশান সমর্থকরা হারলেও, ম্যাচে ঠিকি ইংল্যান্ডকে রুখে দিয়েছে রাশিয়া। শনিবার রাতে ইংল্যান্ড ও রাশিয়ার ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। এরিক দিয়েরের গোলে ইংলিশরা এগিয়ে গেলেও যোগ করা সময়ে ম্যাচে সমতা টানেন ভাসিলি বেরেজুতস্কি।
ফ্রান্সের মার্সেইয়ে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে মাঠে নামা ইংল্যান্ড প্রথম ১০ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার দুটি সুযোগ পায়। কিন্তু সাফল্য আসেনি; তৃতীয় মিনিটে ১২ গজ দূর থেকে ডেলে আলির বিদ্যুৎ গতির শট গোলরক্ষক ঠেকিয়ে দেওয়ার পর অ্যাডাম লালানার প্রচেষ্টা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।২২তম মিনিটে লিভারপুল মিডফিল্ডার লালানার কোনাকুনি শট বাঁ-পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। পরের মিনিটে বল পায়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন রাহিম স্টার্লিং, কিন্তু দারুণ ক্ষিপ্রতার পরিচয় দেন ইগর সিমোলনিকভ। কর্নারের বিনিময়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন জেনিতের এই ডিফেন্ডার।
প্রথমার্ধের অধিকাংশ সময় প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ ধরে রাখা ইংল্যান্ড এ সময়ে মোট নয়বার গোলের লক্ষ্যে শট নেয়, কিন্তু সাফল্য অধরাই রয়ে যায়। বিপরীতে রাশিয়ার শট মাত্র একটি। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের উল্টো চেহারা, গুছিয়ে ওঠা রাশিয়া উঠতে থাকে পাল্টা আক্রমণে। প্রথম ২০ মিনিটে গোলের লক্ষ্যে চারটি শটও নেয় তারা, অবশ্য এর একটিই মাত্র লক্ষ্যে ছিল। স্কোরলাইন থেকে যায় অপরিবর্তিত।
৭১তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো ইংল্যান্ড, কিন্তু ওয়েইন রুনির জোরালো নীচু শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক ইগর আকিনফিভ। এর দুই মিনিট পরেই ২০ গজ দূর থেকে দুর্দান্ত এক ফ্রি-কিকে সমর্থকদের উল্লাসে ভাসান টটেনহ্যাম হটস্পারের মিডফিল্ডার এরিক দিয়ের। তবে যোগ করা সময়ে ইংলিশদের জয়ের স্বপ্ন শেষ করে দেন ভাসিলি। জোরালো হেডে গোলরক্ষক জো হার্টকে পরাস্ত করেন সিএসকে মস্কোর এই ডিফেন্ডার। শেষ হয়ে যায় ইংলিশদের ইউরো ২০১৬ জয়ে শুরুর স্বপ্নও।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/টিএস