
ঢাকা: যথাযথ চিকিৎসা হবে না দাবি করে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা নেবেন না বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ রবিবার সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
রিজভী বলেন, বিএসএমএমইউতে (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল) উনার যে চিকিৎসা, সেই চিকিৎসার ব্যাপারে উনি (খালেদা জিয়া) সন্তুষ্ট নন। সেখানে তার যথাযথ চিকিৎসা হবে না, সেখানে তিনি চিকিৎসা করাতে চান না, সেখানে তিনি চিকিৎসা নেবেন না। আমরা মনে করি, বিএসএমএমইউতে তার যথাযথ চিকিৎসা হবে না। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আমরা আবারো আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, সরকার বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রতি কতটা অমানবিক তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে ফুটে ওঠেছে। আমরা বারবার দেশনেত্রীর অসুস্থতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও সরকার এবং কারা কর্তৃপক্ষ সব সময় তা এড়িয়ে চলছে। এ বিষয়ে এখনো তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। দেশনেত্রীর স্বাস্থ্যের অবস্থা জেনে শুধু বিএনপিই নয় সারা দেশবাসীও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
রিজভী বলেন, আমি বিএনপির পক্ষ থেকে অতিদ্রুত ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করে দেশনেত্রীকে চিকিৎসার সুযোগ দিতে দাবি জানাচ্ছি। দেশবাসীসহ দলের নেতাকর্মীকে দেশনেত্রীর শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে সরকারের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহবান জানাচ্ছি। না হলে তীব্র আন্দোলনের শপথ নিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তি অল্পসময়ের মধ্যেই রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়বে।
রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত ইউনাউটেড হাসপাতালে বেগম জিয়ার চিকিৎসার যৌক্তিকতা তুলে ধরে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আমরা বিশেষায়িত হাসপাতাল ইউনাইটেডে চিকিৎসার কথা বলেছি, যেখানে তিনি দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা করাতেন, সেখানকার চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতেন, সেখানেই তিনি চিকিৎসা করাতে চান, সেখানেই করা দরকার। এই হাসপাতালে আধুনিক ও উন্নতমানের যন্ত্রপাতি রয়েছে। তার যে শারীরিক অসুস্থতা সেটা নিরীক্ষা করার জন্য সেসব যন্ত্রপাতিগুলো অত্যন্ত নির্ভুল হবে এবং তার ডায়গোনেস্টিক যথাযথ করা সম্ভব হবে সেটা সেখানে আছে।
রিজভী বলেন, অতীতেও আওয়ামী লীগের সভানেত্রীসহ অনেক নেতাকে কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তাহলে বেগম খালেদা জিয়াকে তার পছন্দ মতো চিকিৎসা করতে না দেওয়া একজন বন্দীর প্রতি চরম মানবধিকার লঙ্ঘন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, সুরুজ্জামান সুরুজ প্রমুখ।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা: এম কে রায়হান