
রোম: ইতালিতে শক্তিশালী ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা। এর মধ্যে ১৯০ জন নিহত হয়েছেন রাইতি প্রদেশে। বাকিরা প্রাণ হারিয়েছেন পাশ্ববর্তী অ্যাসোলি পিসেনো প্রদেশে।
এছাড়া এতে আহত হয়েছেন ৩৬৮ জনের বেশি মানুষ। জীবিত আটকে পড়াদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন কর্মীরা। চার হাজার তিনশ’র বেশি উদ্ধারকারী ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে উদ্ধার কাজ করছেন।
ধারণা করা হচ্ছে এখনও অনেক মানুষ ভূমিকম্পের ধ্বংস্তুপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। বুধবার সেন্ট্রাল ইতালির পর্বতাঞ্চলে ভূমিকম্পটি হয়। ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, নিহতদের বেশিরভাগই শিশু। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইতালির সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ১৮ মাসের একটি শিশু রয়েছে- যার মা ২০০৯ সালের ভূমিকম্পে কোনমতে বেঁচে যান। ওই নারীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
বুধবার স্থানীয় সময় ৩টা ৩৬ মিনিটে উত্তর-পূর্ব ইতালিতে রাজধানী রোম থেকে ৬৫ মাইল দূরে আঘাত হানে ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্পটি।
প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও রেনজি ভূমিকম্পের কারণে নিজের ফ্রান্স সফর বাতিল করেছেন। তিনি একে ভয়াবহ ট্রাজেডি হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেন, এটি কান্নার দিন। সরকার ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার ও পুনর্বাসনের কাজ আন্তরিকভাবে করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ইতালিতে ভূমিকম্প নতুন কোন ঘটনা নয়। এর আগে ২০১২ সালে নয়দিনের ব্যবধানে দুটি স্বল্পমাত্রার ভূমিকম্পে ২০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারান।
২০০৯ সালে শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে প্রাণ হারান ৩শ’র বেশি মানুষ। ইতালির অ্যাপেনাইন পর্বতাঞ্চলে যাদের বসবাস ভূমিকম্প তাদের জন্য একটি সার্বক্ষণিক বিপদ হয়ে আছে। সূত্র: বিবিসি।
প্রতিবেদন ও সম্পাদনা: সাইফুল ইসলাম