
ঢাকা: ‘ইফ ইউ সি স্যামথিং, সে্ স্যামথিং। আমাদের বলুন। কেউ নিখোঁজ হলে, হারিয়ে গেলে জানান।’ সোমবার বিকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শনের পর এমনটাই বললেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ।
তিনি বলেন, পরিবারের সন্তান নিখোঁজ হয়ে থাকলে তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানান। ব্লগ-টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বা কোনো এলাকায় জঙ্গি তৎপরতার কথা জানা থাকলে সেটিও জানান।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘গুলশানে হামলায় যেসব জঙ্গি মারা গেছেন, তাঁরা উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান। তাদের মধ্যে একজন বাসা থেকে পাসপোর্ট নিয়ে গেছেন, কিন্তু মুঠোফোন ও ব্যক্তিগত জিনিসপত্র রেখে গেছেন। আমরা ঘটনাগুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি, নিখোঁজের পর আর তারা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি।’
তিনি বলেন, রমজান মাসে আরব দেশেও কখনও যুদ্ধ হতো না। আগে যুদ্ধ চলতে থাকলেও রমজান মাসে বিরত রাখা হতো। অথচ জঙ্গিরা এ মাসেই এমন একটি ঘটনা ঘটালো।
ঈদগাহের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে বেনজির বলেন, জাতীয় ঈদগাহের জামাতের জন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গত ১ জুলাইয়ের ভয়াবহ ঘটনা বিবেচনায় রেখে নিরাপত্তার ছক আঁকা হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও নিশ্চিন্তে সকল মুসল্লি নামাজ আদায় করবেন বলে আশা করছি। সবাই নির্ভয়ে আসবেন। জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে সব কিছু রুখে দেওয়া সম্ভব।
তিনি বলেন, নিরাপত্তা কখনও সংখ্যা দিয়ে বিবেচনা হয় না। কোয়ালিটি দিয়ে বিবেচনা করা হয়। যেহেতু একটি ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। তাই সে ঘটনা মাথায় রেখে যে স্থানে সুক্ষ্ম গ্যাপও আমাদের মনে হবে সেখানে ব্রিচ করা হবে। অতিরিক্ত সিকিউরিটির জন্য কেউ বাড়াবাড়ি মনে করবেন না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কো-অপারেট করবেন।
জনগণের সাপোর্ট প্রত্যাশা করে র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ভয়াবহ এ জঙ্গি হামলা মাত্র ১১ ঘণ্টার মধ্যে সমাপ্ত করা হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে এ ধরনের যত হামলা হয়েছে তাদের থেকে আমাদের উদ্ধার অভিযান দ্রুত সময়ে হয়েছে। অনেক দেশেরই এ ধরনের হামলা মোকাবেলায় অভিযান চালাতে একাধিক দিন সময় লেগেছে। এ জন্য বাইরের দেশ থেকেও আমাদের প্রশংসা দেওয়া হয়েছে।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/পিএসএস