
আংকারা: গত মাসের ব্যর্থ অভ্যুত্থানের জের ধরে সোমবার তুরস্কের বৃহত্তম এবং প্রাচীন শহর ইস্তাম্বুলের প্রধান তিনটি আদালতে পুলিশি অভিযান চালানো হয়েছে।এর আগে সরকারের ১৭৩ জন কৌঁসুলি ও অন্যান্য আদালত কর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
তুরস্কের দোগান নিউজ এজেন্সি জানায়, পুলিশ শহরের প্রধান আদালত এবং গাজিওসমানপাশা ও বাকিরকই জেলার আদালতে অভিযান চালায়।
অভিযানের সময় কিছু অফিস ভবনে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকেও কিছু লোককে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ঠিক কত জনকে আটক করা হয়েছে তা পরিস্কার নয়। পুলিশ জানায়, আটক ব্যক্তিদের এখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
অভিযুক্তরা মার্কিন প্রবাসী ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনের অনুসারী বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ১৫ জুলাইয়ের ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পিছনে তার হাত রয়েছে বলে দাবি করেছে তুর্কি সরকার।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর গুলেনের সমর্থক সন্দেহে ৩৫ হাজার মানুষকে আটক করা হয়েছে। অবশ্য ইতিমধ্যেই ১১ হাজার ৫৯৭ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
তুর্কি সেনাবাহিনীর বিশেষ একটি গ্রুপের ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পরে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান দেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠান গুলেন ভাইরাস মুক্ত করার অঙ্গীকার করেছিলেন। কিন্তু সমালোচকদের ধারণা, এর মাধ্যমে তুর্কি সরকার শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করছে। আর সরকার বিরোধীরাই মূলত এর লক্ষ্যবস্তু।
গত রোববার তুরস্কের পূর্বাঞ্চল এরজুরুম এলাকার সাবেক প্রধান কৌঁসুলি একরেম বিয়াজতাসকে আটক করে সীমান্ত রক্ষী। সিরিয়া যাওয়ার পথে তাকে আটক করা হয়। সূত্র: আল আরাবিয়া
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এফকে