
ঢাকা: আসন্ন ঈদে বাসে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ এলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রোববার সচিবালয়ে ঈদ সামনে রেখে ঢাকার পাশ্ববর্তী জেলাগুলোতে যানজট নিরসনে এক সমন্বয় সভায় একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমি রেয়ার কেস পেয়েছি ভাড়া বেশি নেয়, এ কথা বলে। তারপরও আমি বলছি, বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ এলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সেখানে (বাস টার্মিনালে) আমাদের ভিজিলেন্স টিম থাকবে, আপনারা (যাত্রীরা) ভিজিলেন্স টিমকে (বেশি ভাড়া নেওয়ার বিষয়টি) জানাতে পারেন।’
ঈদের সময় বাস মালিকদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ ওঠে- এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। সমস্যাটা হচ্ছে যখন আমরা স্টেশনে, টার্মিনালে গিয়ে জিজ্ঞেস করি আপনাদের কাছ থেকে কি ভাড়া বেশি নিয়েছে, তখন কেউ কিছু বলে না।’
তিনি বলেন, ‘আমি রেয়ার কেস পেয়েছি ভাড়া বেশি নেয়, এ কথা বলে। তারপরও আমি বলছি, বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ এলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সেখানে (বাস টার্মিনালে) আমাদের ভিজিলেন্স টিম থাকবে, আপনারা (যাত্রীরা) ভিজিলেন্স টিমকে (বেশি ভাড়া নেওয়ার বিষয়টি) জানাতে পারেন।’
ঈদের সময় ঢাকার আশপাশের কিছু এলাকা অত্যন্ত যানজটপ্রবণ হয়ে ওঠে জানিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘এ যানজটপ্রবণ এলাকায় পুলিশও অনেক সময় যানজটের তীব্রতায় হিমশিম খায়।’
ঢাকার আশপাশের ১৬টি যানজটপ্রবণ পয়েন্টে এক হাজার রোবার স্কাউটের স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘স্থানগুলো হলো- কাঁচপুর, মেঘনা, ভুলতা, নবীনগর, আশুলিয়া, জিরাবো বাজার, বাইপাইল, কোনাবাড়ী, চন্দ্রা, পাকুল্লা, কালিয়াকৈর, কাঞ্চন সেতু, মদনপুর, গোমতী সেতু ও এলেঙ্গা।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা প্রত্যেককে এক হাজার টাকা করে অনারিয়াম (সম্মানী) দেব। তিন শিফটে কাজ হবে পাঁচদিন (ঈদের আগে)। ২৪ ঘণ্টাই তারা কাজ করবে। প্রত্যেক পয়েন্টে একজন লিডার থাকবেন, তাকে ১০০ টাকা বেশি দেওয়া হবে। তিনি পাবেন এগারো শ’ টাকা। আমাদের সঙ্গে আসতে পেরে তারাও (রোভার স্কাউটরা) খুব খুশি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের কষ্টটা টলারেবল লেবেলে (সহনীয় পর্যায়ে) রাখব এটাই হচ্ছে আমাদের কাজ।’ সভায় ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চল ও সিলেট যেতে বিকল্প রুট তুলে ধরে একটি প্রেজেন্টেশন দেওয়া হয়।
ঈদের আগে-পরে ৩ দিন করে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঈদের ১০ দিন আগে ঢাকার পাশ্ববর্তী এলাকায় সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া ঈদের আগে-পরে তিনদিন করে ৬ দিন পঁচনশীল পণ্য ছাড়া সব ধরনের পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে।
ঈদের সময় মহাসড়কে ভ্রাম্যমাণ টয়লেট রাখা হবে বলেও সভায় সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এমএএন ছিদ্দিক, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, ঢাকার পাশ্ববর্তী জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, জেলা ও উপজেলা পুলিশ প্রশাসন, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ, বিআরটিসি, সংশ্লিষ্ট এলাকার সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলীরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/ওয়াইএ/এসআই