
মানিকগঞ্জ: পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্ততি নেয়া হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে নিয়োজিত থাকবে ছোট-বড় ১৮টি ফেরি ও ৩২টি লঞ্চ। ঈদের তিন দিন আগে ও পরে বন্ধ থাকবে সাধারণ পণ্যবাহী ট্টাক পারাপার।
ঘাটের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ছয় শতাধিক পুলিশসহ কাজ করবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের উদ্যোগে ঘাট সংশ্লিষ্টদের নিয়ে ইতোমধ্যে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন সংস্থা’র (বিআইডিব্লউটিসি) ম্যানেজার শেখ মোহাম্মদ নাসিম জানান, ঈদ প্রস্ততি হিসেবে এবার ১০টি রো-রো, ৩টি কে-টাইপ ৫টি ইউটিলিটিসহ মোট ১৮টি ফেরি যানবাহন পারাপরের কাজে নিয়োজিত থাকবে। অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে সার্বক্ষণিক মোতায়েন থাকবে উদ্ধারকারী জাহাজ আইটি-৩৮৯।
বিআইডব্লিউটিএ আরিচা অঞ্চলের উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুস সালাম জানান, নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে ফেরি-লঞ্চ চলাচলে সময় বেশি লাগলেও নৌ-পথের অবস্থা ভালো রয়েছে। প্রাকৃতিক কোনো বিপর্যয় না ঘটলে ঘরমুখো মানুষকে সহজেই পারাপার করা সম্ভব হবে।
বিআইডব্লিউটিএ আরিচা নদী বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা শেখ মোঃ সেলিম রেজা জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট রুটে ৩২টি লঞ্চ যোগে যাত্রী পারাপার করা হবে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের নৌ-যান চলাচলে সতর্ক বার্তা ও আদেশ-উপদেশ প্রদান করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান জানান, ঘাট এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সাদাপোশাকীসহ ৬ শতাধিক পুলিশ কাজ করবে। ফেরি পারপারের জন্য আসা ছোট-বড় যানবাহনের জন্য আলাদা লেন করা হয়েছে। রাতে যাত্রীদের নিরাপত্তায় ঘাট এলাকায় বাড়তি বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌস জানান, লঞ্চ ও পরিবহনে অতিরিক্ত যাত্রী বহনসহ চুরি-ছিনতাই ঘটনায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে ঘাটে সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করবে। যাত্রীদের জন্য থাকবে ফ্রি-চিকিৎসা ক্যাম্প।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/প্রতিনিধি/এসজি/জাই