
কুমিল্লা: ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর ময়নাতদন্তের বিষয়ে মহিলা আইনজীবী সমিতির উকিল নোটিশের জবাব দিয়েছে ময়নাতদন্ত বোর্ড।
বুধবার বিকাল ৫টায় জেলা পিপি‘র কাছে আইনজীবীর মাধ্যমে কপি হস্তান্তর করে ওই নোটিশের জবাব দেন বোর্ডের তিন সদস্য।
এ প্রসঙ্গে ময়ানতদন্তকারী বোর্ডের সদস্য ফরেন্সিক বিভাগের প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহা নিউজনেক্সটবিডি ডটকমকে বলেন, প্রথম ময়নাতদন্তের সঙ্গে আমি সম্পৃক্ত ছিলাম না। কলেজের অধ্যক্ষ ময়নাতদন্তের সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত থাকেন না। তবে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের সঙ্গে আমি সম্পৃক্ত রয়েছি। এটা বোর্ডের মাধ্যমে হয়েছে।
তিনি বলেন, মহিলা আইনজীবী সমিতির উকিল নোটিশে যে যে প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে তার প্রত্যেকটি অনুচ্ছেদের উত্তর দেয়া হয়েছে। এছাড়াও কিছু বিষয়ের ব্যখ্যা দিয়েছেন প্রথম ময়নাতদন্তাকরী কর্মকর্তা ডা. শারমিন সুলতানা।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে অধ্যক্ষ ডা. মো মহসিন উজজামান বলেন, অধ্যক্ষরা সাধারণত ময়নাতদন্তের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকেন না। আমিও ছিলাম না। তাদের উকিল নোটিশরে জবাব দেয়া হয়েছে।
জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলী গত ১৯ মে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. মো. মহসিন উজ জামান চৌধুরী, ময়ানতদন্তকারী বোর্ডের সদস্য ফরেন্সিক বিভাগের প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহা ও প্রথম ময়নাতদন্তকারী কর্মকর্তা প্রভাষক ডা. শারমিন সুলতানাকে উকিল নোটিশ দেন।
উকিল নোটিশে প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেয়ার কারণ জানতে চাওয়া হয়। উকিল নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব চাওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের শেষ দিন বুধবার আইনজীবীর মাধ্যমে এর জবাব দেন তারা। উকিল নোটিশ অ্যাডভোকেট সালামা আলী এবং কুমিল্লা জেলা পিপি অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান লিটনকে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ সোহাগী জাহান তনুর লাশ কুমিল্লা সেনানিবাসের পাওয়ার হাউসের পাশে কালভার্টের কাছের জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়। ২১ মার্চ তনুর লাশের প্রথম ময়নাতদন্ত হয়। এতে মৃত্যুর কোনো কারণ নিশ্চিত করা হয়নি।
ময়নাতদন্তে ধর্ষণের কোনো আলামতও পাওয়া যায়নি বলে প্রথম প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন ডা. শারমিন সুলতানা।
গত ২৮ মার্চ তনুর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের আদেশ দেন আদালত। ৩০ মার্চ তনুর লাশ উত্তোলন করা হয়। ওই দিনই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের গঠিত মেডিকেল বোর্ড দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করে। এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি।
একই সময়ে করা ডিএনএ প্রতিবেদন চলে আসে প্রায় ২০ দিন আগেই। ডিএনএ প্রতিবেদনে তনুকে ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে বলে প্রমাণ মিলেছে। তার শরীরে তিন জন পুরুষের বীর্ষ শনাক্ত করা হয়েছে।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/পিএসএস/জাই