
বরিশাল: জেলার উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের তেরদ্রোন গ্রামে বাবা এবং সৎ মা ও ভাইয়ের হামলায় গার্মেন্টস কর্মী সোমবার আহত হয়েছেন।
কিন্তু উজিরপুর থানার ওসি (তদন্ত) ও ঘটনাস্থলে থাকা এসআই সাংবাদিকদের জানান সে নিহত হয়েছে। এমনকি গার্মেন্টস কর্মী হেমায়েত হাওলাদারকে (৩৭) খুনের অভিযোগে তার সৎ মা পারুল বেগম ও বাবা আব্দুল আজিজকে আটক করে পুলিশ।
এর আগে ঘটনাস্থলে থাকা উজিরপুর থানার এসআই মো. শামীম জানান জমি নিয়ে বাবা-সৎ মা পারুল, ভাই এনায়েতের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে। সোমবার ভোর রাতে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসে। এ নিয়ে বাবা-সৎভাই এনায়েত ও মা পারুলের সঙ্গে মারামারি হয়। তখন তারা হেমায়েতকে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে মাথা ফেটে যায়।
উজিরপুর থানার ওসি (তদন্ত) ফারুক খানও সাংবাদিকদের জানান, বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ মর্গে রয়েছে। এই ঘটনায় মামলা হবে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হেমায়েতের সৎ মা পারুল ও বাবা আব্দুল আজিজকে আটক করে।
পরবর্তীতে সাংবাদিকরা শের-ই বাংলা মেডিকেলে গিয়ে পুলিশের ভাষায় মৃত হেমায়েতে’র সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হন।
হেমায়েতের সঙ্গে থাকা প্রতিবেশী রফিকুল ইসলাম জানান, হেমায়েতের মাথায় তিনটি জখম রয়েছে। অজ্ঞান অবস্থায় আমরা হাসপাতালে নিয়ে আসি। সে সময় সে মারা গেছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এখন সে মোটামুটি সুস্থ আছে, কথাও বলতে পারে।
মেডিকেলের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. দাশ রনবীর জানান, সোমবার দুপুর ২টায় উজিরপুর থেকে হেমায়েত নামে আহত এক বক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাকে লাঠি সোটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। তিনি আশংকামুক্ত। চিকিৎসার জন্য তাকে সার্জারি-৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
সার্জারি ইউনিটের সহকারী রেজিস্টার ডাঃ শাহে আলম জানান, হেমায়েতের মাথায় ৮টি সেলাই দেয়া হয়েছে। পুরোপুরি সুস্থ হতে সময় লাগবে।
এ খবর জানানোর পর উজিরপুর থানা পুলিশ ভুল স্বীকার করেছে। মুঠোফোনে উজিরপুর থানার এসআই গাজী শামীম জানান, তাদের কাছে রোগীর স্বজনরা ভুল তথ্য দিয়েছিলো। সেই তথ্যের সত্যতা যাচাই না করেই সাংবাদিকদের জানানো হয়েছিলো। পরে রোগীর প্রকৃত অবস্থা জেনেছে পুলিশ। হেমায়েত মারা যায়নি, সে আহতাবস্থায় শের-ই বাংলা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছে।
ওসি (তদন্ত) ফারুক খানের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি সত্যতা নিশ্চিতের জন্য শেরেবাংলা হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। হেমায়েত মারা যায়নি। তার মাথায় ব্যান্ডেজ করা। কথাও বলতে পারছেন। তবে হেমায়েতের উপর হামলার ঘটনায় হত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগে পিতা আব্দুল আজিজ হাওলাদার ও সৎ মা পারুল বেগমকে আটক করা হয়েছে বলে জানান ওসি ।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/প্রতিনিধি/জাই