
ঢাকা: ম্যাচ চলাকালীন দৌড়ে মাঠে প্রবেশ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে জড়িয়ে ধরা সেই ভক্ত ও তার বন্ধুরা এখনো মিরপুর থানায় রয়েছেন।
ঘটনার পর থেকে মেহেদী হাসান নামে ওই ভক্ত ও তার বন্ধু তানভীর আহমেদ মারুফ, আয়মান আসিফ রাফি ও আবীর হোসেনকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন মিরপুর জোনের উপ-কমিশনার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
শনিবার রাতে মিরপুর স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান তৃতীয় একদিনের ম্যাচ চলাকালীন হঠাৎ ঘটে যায় অদ্ভুত এক ঘটনা। সম্ভবত বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে এটাই প্রথম। হঠাৎ এক ভক্ত মাঠে ঢুকে পড়েন আর বাংলাদেশের দলপতি মাশরাফিকে জড়িয়ে ধরেন। এসময় নিরাপত্তা রক্ষীরা তাকে সরানোর চেষ্টা করেন, এমনকি ওই ভক্তের উপর মারমুখি হতেও দেখা যায় তাদের। তবে তাকে আগলে রাখেন কাপ্তান নিজেই।
ওই ঘটনায় একদিকে অধিনায়ক মাশরাফির মহানুভবতার পরিচয় পাওয়া যায়, অন্যদিকে কিছুটা হলেও প্রশ্নবিদ্ধ হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঘটনার পর খেলার মাঠে ওই তরুণকে কড়া নজরদারিতে রাখে পুলিশ।খেলা শেষে তাকেসহ চারজনকে রাত ১০টার দিকে মিরপুর মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। রোববার দুপুর পর্যন্ত তারা থানায়ই রয়েছেন।
বিস্তারিত জানতে রোববার দুপুরে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ভূঁইয়া মাহবুব হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিউজনেক্সটবিডি ডটকমকে বলেন, ‘হ্যা তারা এখনো থানায় আছে। পুরো ঘটনাটি কিভাবে ঘটলো এবং ঘটনাটি ঘটানোর কারণ জানার জন্য তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এখন ব্যস্ত আছি, পরে যোগাযোগ করুন।’
পরে থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অজিৎ রায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘তাদের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তদারকি করছেন। ওসি স্যারের সাথে ভেতরে ডিসি স্যারও রয়েছেন। ওই চারজনকে এখনো কিছুক্ষন পর পরই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এখনো কোন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আমাদের জানানো হয়নি।’
ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি কিভাবে ঘটলো তা জানতে চারজনকে নিয়ে পুরো ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বার বার নিজেদের মাশরাফির ভক্ত বলেই দাবি করেছেন। তবে সামনে যেহেতু ইংল্যান্ড ক্রিক্রেট দল ঢাকায় আসবে তাই তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ। তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে কি না।
প্রতিবেদন: প্রীতম সাহা সুদীপ, সম্পাদনা: জাহিদুল ইসলাম