
ঢাকা: সবরকম আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদ আলীর মরদেহ নিয়ে আসা হয় বিএফডিসিতে। সেখানে অুনষ্ঠিত হয় তার দ্বিতীয় জানাজা।
এতে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি, পরিচালক সমিতিসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট নানা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সবাই ফরিদ আলীকে অশ্রুসিক্ত ভালোবাসায় শেষ বিদায় জানিয়েছেন।
এফডিসি’তে জানাজা শেষে ফরিদ আলীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর বনানী কবর স্থানে। সেখানেই চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন বাংলা টেলিভিশনের প্রথম নাটকের অভিনেতা। এর আগে সকালে চ্যানেল আই চত্বরে মরহুমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ফরিদ আলী। অনেকদিন ধরেই শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন তিনি। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সিসিইউতে রাখা হয়েছিল। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আবদুল কাদের আখন্দের তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফরিদ আলীর চিকিৎসার ভার নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৭১ সালে দেশের টানে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। মেজর ওসমান গণির নেতৃত্বে দুই নম্বর সেক্টরে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেন ফরিদ আলী।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রথম হাসির নাটক ‘ত্রি-রত্ন’র অভিনয়শিল্পী ও তৃতীয় নাটকের নাট্যকার ছিলেন ফরিদ আলী। শহীদুল আমীনের লেখা ‘কনে দেখা’র মাধ্যমে ১৯৬২ সালে মঞ্চে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হয় তার। এরপর অসংখ্য মঞ্চনাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীর লেখা ‘একতলা দোতলা’ নাটকের মাধ্যমে ১৯৬৪ সালে টিভিতে প্রথম দেখা যায় তাকে। ফরিদ আলীর লেখা প্রথম টিভি নাটক হলো ‘নবজন্ম’।
প্রতিবেদক: আসিফ আলম, সম্পাদনা: আইরিন রবি, সজিব ঘোষ