
ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে এবার কুমিল্লায় নাশকতার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ‘শ্যোন অ্যারেস্ট’ দেখানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন।
এর আগে এসব মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা কুমিল্লা থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে পাঠানো হয় বলে নিশ্চিত করেছিলেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন। তিনি বলেন, ২০১৫ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নাশকতার ঘটনায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোর সকল নথিপত্র ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
খালেদা জিয়ার ঠিকানা রাজধানীতে হওয়ায় কুমিল্লা থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা ঢাকায় পাঠানো হয়। অন্য মামলায় তার সাজা হওয়ার পর কারাগারে থাকায় আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল করার জন্য ওই মামলায় তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হলো।
ওই ঘটনায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের সাবেক সংসদ সদস্য জামায়াত নেতা ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরকে প্রধান আসামি করে ৫৬ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ বিএনপির ৬ শীর্ষস্থানীয় নেতাকেও হুকুমের আসামি করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী আইকন পরিবহনের একটি বাস কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুর এলাকায় আসামাত্র দুর্বৃত্তরা পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে। এতে ঘটনাস্থলে সাতজন ও হাসপাতালে নেওয়ার দুদিন পর আরও একজনসহ মোট আটজন মারা যান ও ২৭ জন আহত হন। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হলে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা তদন্ত করেন চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই মো. ইব্রাহিম।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা: এম কে রায়হান