
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকাঃ
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নেতা খন্দকার এনায়েত উল্লাহ’র বিরুদ্ধে বিপুল পরিমান চাঁদাবাজির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আর, অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সুনামগঞ্জ-১ আসনের সরকারদলীয় এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
দুদক সূত্র জানায়, সম্প্রতি খন্দকার এনায়েত উল্লাহ’র বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তথ্য চেয়ে অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্সদ নূরুল হুদা সম্প্রতি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কাছে একটি চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে রাজধানী ও আশপাশের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী প্রায় ১৫ হাজার বাস থেকে দৈনিক প্রায় ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায়সহ শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধানের স্বার্থে এনায়েত উল্লাহ, তার স্ত্রী নার্গিস সামসাদ, মেয়ে চাশমে জাহান নিশি ও ছেলে রিদওয়ানুল আশিক নিলয়ের নামে নিবন্ধিত যানবাহনের তথ্য অনুসন্ধান কর্মকর্তার কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সুনামগঞ্জ-১ আসনের আওয়ামী লীগের এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তার ন্যাম ভবনের ঠিকানায় দুদক থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়।
দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের স্বাক্ষর করা ওই চিঠিতে বলা হয়, গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম ঠিকাদারসহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের সাথে অবৈধ প্রক্রিয়ায় পরস্পর যোগ সাজশে ঘুষ দেয়া নেয়ার মাধ্যমে বড় বড় ঠিকাদারি কাজ নিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্যাসিনো ব্যবসা ও অন্যান্য অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা অবৈধ প্রক্রিয়ায় অর্জন পুর্বক বিদেশে পাচার ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত অভিযোগ রয়েছে এমপি রতনের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগ অনুসন্ধানের স্বার্থে আগামী ১৮ই ফেব্রুয়ারি দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এসে বক্তব্য প্রদানের জন্য এমপিকে অনুরোধ করা হয় ওই চিঠিতে।
গত বছর ১৮ই সেপ্টেম্বর দেশব্যাপি শুদ্ধি অভিযানের পর থেকেই এমপি রতনের নাম উঠে আসে। দুদক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বারষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক অভিযোগপত্র জমা পড়ে তার বিরুদ্ধে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই এমপি রতনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দুদক। তারই ধারাবাহিকতায় এবার সংস্থাটি তাকে তলব করলো।