
ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কোরতিপাড়া গ্রামে পুরোহিত আনন্দ গোপাল হত্যার প্রতিবাদে স্থানীয় স্কুল মাঠে এক সভার আয়োজন করা হয়।
মঙ্গলবার বিকেলের এই প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত হন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও বিমান মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। তারা যখন পর্যায়ক্রমে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন ঠিক তখনই ঘটে বিপত্তি।
এসময় অনেকেই পকেট মারের শিকার হন। পকেটমার ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুল হাইয়ের মানিব্যাগ নিয়ে যায়। এবং ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের একটি মোবাইল সেট।
এছাড়া, ঠিকাদার বাবুল আজাদের ৫০ হাজার টাকা, গান্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন, শৈলকুপার দুধসর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোয়েব জোয়ারদার, ঝিনাইদহের সাবেক পৌর চেয়ারম্যনসহ অর্ধশত নেতাকর্মীর টাকা ও মোবাইল সেট নিয়ে যায় পকেটমার।
এ বিষয়ে ঠিকাদার বাবুল আজাদ বলেন, ‘ঝিনাইদহ শহর থেকে কোরাতিপাড়া পর্যন্ত কঠোর নিরাপত্তা ছিল। রাস্তার দুই পাশে পোশাক পরিহিত অস্ত্রধারী শত শত পুলিশ। আছে সাদা পোশাকের গোয়েন্দারা। এর মাঝেও এমন ঘটনা ঘটবে ধারণাও ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘দুই এমপি ছাড়াও, সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন চেয়ারম্যান, দলীয় নেতাকর্মী ও ঠিকাদারসহ অনেক নামিদামী ব্যক্তির পকেটমারা হয়েছে। কিন্তু লজ্জায় কেও মুখ খুলছেন না।’
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘অনুষ্ঠানে না যাওয়াতে আমি বিষয়টি জানি না। তবে খোঁজ নিয়ে পরে জানাতে পারবো।’
এদিকে, কঠোর নিরাপত্তায় পকেটমারদের দৌরাত্ম্যের ঘটনায় নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/প্রতিনিধি/আইকে/ওয়াইএ