
ঢাকা: রাষ্ট্রপতি থাকার সময় জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ বিভিন্ন উপহার সামগ্রীর অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের মামলায় সাজা সংক্রান্ত আপিল শুনানি পিছিয়ে ৩০ নভেম্বর ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি এরশাদের পক্ষে তার আইনজীবীর সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের একক বেঞ্চ শুনানির জন্য পরবতী এই দিন ঠিক করেছেন। আদালতে মঙ্গলবার এরশাদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদকের)করা মামলা শুনানির উদ্যোগ নিয়েছেন দুদকের আইনজীবীরা। সাজার রায়ের বিরুদ্ধে করা এরশাদের আপিল শুনানির জন্য ১৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট। ওই আবেদন শুনানি করে এই আদেশ দেন।
শেখ সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আমি মানবিক ও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে চার সপ্তাহের সময় আবেদন করেছিলাম। আদালত দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছেন। দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান জানান, হাইকোর্টে এই মামলা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানি হবে।
দীর্ঘ ২৪ বছর পর প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু করতে উদ্যোগ নেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। এর আগে ২০১২ সালের ২৬ জুন সাজার রায়ের বিরুদ্ধে এইচ এম এরশাদের আপিলে পক্ষভুক্ত হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আপিলে পক্ষভুক্ত হতে দুদকের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন বিচারপতি খোন্দকার মুসা খালেদ ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেন।
দুদকের আইন জীবী খুরশিদ আলম খান সাংবাদিকদের জানান, রাষ্ট্রপতি থাকাকালে পাওয়া বিভিন্ন উপহার সামগ্রী রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেওয়ার অভিযোগে ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো এরশাদের বিরুদ্ধে ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি দুর্নীতির মামলা দায়ের করে।
১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি থাকাকালে বিভিন্ন উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেওয়ার অভিযোগ এরশাদের বিরুদ্ধে।
মামলায় ১কোটি ৯০লাখ ৮১হাজার ৫৬৫টাকার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়। ১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালত ওই মামলায় এরশাদকে তিন বছরের সাজা দেন। এই সাজার রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই আপিল করেন এরশাদ। আপিলটি দুই যুগ ধরে হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। বিচারাধীন থাকাবস্থায় ২০১২ সালের ২৬ জুন এই মামলায় পক্ষভুক্ত হয় দুদক
প্রতিবেদন: ফয়েজ, সম্পাদনা: মাহতাব শফি