
চট্টগ্রাম: পাঁচলাইশ থানাধীন জিইসি মোড় সংলগ্ন এলাকায় এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। রোববার সকাল সাড়ে ছয়টায় মোটরসাইকেল আরোহী তিন যুবক ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা করে মাহমুদা খানমকে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার উত্তর পরিতোষ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘পাশের একটি ভবনের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে, সেখানে দেখা গেছে মোটরসাইকেল আরোহী তিনজন মাহমুদাকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে ছয় সাতবার ছুরিকাঘাত করে, এরপর তার মাথার বাম পাশে একটি গুলি করা হয়, এরপর শরীরে আরো একটি গুলি করা হলেও সেটি মিস ফায়ার হয়েছে।’
গুলি করে দুর্বৃত্তরা ওআর নিজাম রোড ধরে মেহেদীবাগের দিকে চলে যায়, ফুটেজ দেখে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।পরিতোষ ঘোষ আরো জানান, ‘তিন মোটরসাইকেল আরোহীর মধ্যে চালকের মাথায় হেলমেটে ছিলো, অপর দুইজনের মুখ ছিলো খোলা।’
জঙ্গি বিরোধী অভিযানের কারণে বাবুল আক্তার টার্গেটে ছিলেন, তিনি ঢাকা চলে গেলেও তার ও পরিবারের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হযেছিলো। মাহমুদা বাসা থেকে বের হওয়ার সময় সোর্স বডিগার্ডকে সাথে নেননি- জানান পরিতোষ ঘোষ।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার ইকবাল বাহার জানান, ‘সকালে ছেলেসন্তান আক্তার মাহমুদ মাহিদকে নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের উদ্দেশে রওনা হন মিতু। বাসা থেকে ৫০ গজ দূরে গেলে রাস্তায় মোটরসাইকেলে করে তিন দুবৃত্ত প্রথমে মিতুকে ধাক্কা দেয়। পরে তাকে ছুরিকাঘাত করে। এরপর মাথার পেছনে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়।
সিএমপি কমিশনার জানান, খবর পেয়ে তিনিসহ পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা মিতুকে চিনতে পারেন।
ইকবাল বাহার আরো জানান, বাবুল আক্তার ও মাহমুদা খানম মিতু দম্পতির ছেলে আক্তার মাহমুদ মাহিদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র। তাবাসসুম তাসনিম নামের এক মেয়েও রয়েছে এ দম্পতির।
বাবুল আক্তার সিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি-গোয়েন্দা) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্প্রতি তিনি এসপি পদে পদোন্নতি পেয়ে ঢাকায় বদলি হয়ে এসেছেন।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এসএন/এমএস/এসআই