
ওকিনাওয়া: জাপানের ওকিনাওয়া দ্বীপে মার্কিন সামরিক উপস্থিতির বিরুদ্ধে ব্যাপক জনসমাগম ঘটেছে। দ্বীপের মার্কিন সামরিক ঘাঁটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করার জন্য রোববার হাজার হাজার ওকিনাওয়াবাসী জড়ো হয়েছেন।
সাবেক মার্কিন মেরিন সেনা দ্বারা ২০ বছরের এক জাপানি তরুণী ধর্ষণ এবং হত্যার প্রতিবাদে দ্বীপবাসীরা মার্কিন সেনা উপস্থিতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। সাবেক ওই সেনা দ্বীপটিতে বেসামরিক কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিল এবং কিছুদিন আগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওকিনাওয়াতে ২৬ হাজার মার্জিন সেনা অবস্থান করছে। এই ঘটনার ফলে মার্কিন সামরিক ঘাঁটির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের বিরোধিতা আরো জোরালো হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা মার্কিন সামরিক সদস্যদের দ্বীপটি থেকে সরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন।
মার্কিন সেনাদের ঘাঁটি পুরো দ্বীপের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ জায়গাজুড়ে রয়েছে এবং এই ঘাঁটিটি জাপান-মার্কিন সামরিক জোটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
বিক্ষোভকারীরা প্রাদেশিক রাজধানী নাহায় সমাবেশ করেন এবং একই সময়ে টোকিওর সংসদ ভবনের বাইরেও একটি প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। নাহার সমাবেশে ওকিনাওয়ার গভর্নর তাকেশি ওনাগা যোগ দেন।
টোকিও এবং ওয়াশিংটন দ্বীপের কেন্দ্র থেকে ফুতেনামা এয়ার স্টেশন সরিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে নেয়ার যে পরিকল্পনা করেছে তা বাতিলের আহবান জানান বিক্ষোভকারীরা। তারা দ্বীপ থেকে ফুতেনামা ঘাঁটির পুরোপুরি অপসারণ চান। ১৯৯৫ সালে ১২ বছরের এক জাপানি কিশোরীকে তিন মার্কিন মেরিন সেনা ধর্ষণ করে। এরপর এটি অপসারণের জন্য ব্যাপক বিক্ষোভ সংঘটিত হয়।
পরবর্তীকালে স্থানীয়দের বাধা এবং আইনি ঝামেলার কারণে তা বাস্তবায়নে বিলম্ব হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে টানা ২৭ বছর মার্কিন দখলদারিত্বে ছিল ওকিনাওয়া। সূত্র: বিবিসি
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এফকে/ওয়াইএ