
ঢাকা: বাগেরহাট জেলার ফকিরহাটে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে দু’জন মারা গেছেন এমন সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করতে ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমি এখন রেস্টে আছি’।
রোববার রাত ১০টা ২০মিনিটে তিনি এ কথা বলে ফোন কেটে দিলেও পরবর্তিতে ওই থানার ওসি বজলুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। তিনি বার বার ফোন কেটে দেন।
তবে সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে হাফিজুর রহমান সরদার (২৬) ও ইমরান খান (১৮) নামে স্থানীয় যুবলীগ-ছাত্রলীগের দুই কর্মী নিহত হয়েছেন।
রোববার দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে খলিল ও আলতাফ নামে আরো দু’জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত হাফিজ আড়াডাঙ্গা গ্রামের আতিয়ার সরদারের ছেলে। তিনি ফকিরহাট উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের যুবলীগ কর্মী। ইমরান খান একই গ্রামের খলিল খানের ছেলে ও ফকিরহাট কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী বলেও জানায় সূত্র।
জানা যায়, উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সরদার আলতাফ হোসেনকে (৩৫) একই এলাকার আওয়ামী লীগের আবুল হোসেন গ্রুপের লোকজন কুপিয়ে জখম করে। এ খবর ছড়িয়ে পরলে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আলতাফ হোসেনের লোকজন ওই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে যুবলীগ কর্মী হাফিজুর রহমান সরদারের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।
এ সময় বাধা দিলে হাফিজুর রহমান সরদার, খলিল এবং ইমরানকে কুপিয়ে-পিটিয়ে ও হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়। পরে আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ফকিরহাট হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা হাফিজুল সরদারকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর দু’জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে ছাত্রলীগ কর্মী ইমরান খান সন্ধ্যায় মারা যান।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/প্রতিনিধি/এসজি/জাই