
ঢাকা: ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা ও সুরমা নদ-নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে। অপরদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দেশের নদ-নদীর ৪টি স্থানে পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ১৮টি স্থানে পানি বৃদ্ধি ও ৬৯টি স্থানে পানি হ্রাস পেয়েছে। নদ-নদীর একটি স্থানে পানি অপরিবর্তিত রয়েছে এবং দুটি স্থানের তথ্য পাওয়া যায়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার একথা বলা হয়।
আজ সকাল ৯টা থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং পদ্মা এবং সুরমা নদ-নদীসমূহের পানি হ্রাস অব্যাহত থাকতে পারে। অপরদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি আগামী ২৪ ঘন্টায় হ্রাস পাওয়া শুরু হতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় গঙ্গা নদীর পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে।
রাজধানী ঢাকার আশপাশে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও শীতলক্ষ্যা (নারায়ণগঞ্জ) নদীসমূহের পানি হ্রাস পাচ্ছে। যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে উপকূলীয় গাঙ্গের পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থানরত মৌসুমি নিম্নচাপটি উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বুধবার সকাল ৬ টায় খুলনা অঞ্চল ও তৎসংলগ্ন (অক্ষাংশ ২২.৫ উত্তর এবং দ্রাঘিমাংশ ৮৯.৩ পূর্ব) অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে।
এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে এবং গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হচ্ছে। সমুদ্রবন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার এ কথা বলা হয়। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/জাই