
ঢাকা: ঈদকে পরিবারের সবার সাথে ভাগাভাগি করে নিতে গ্রামে যাবে রাজধানীবাসী। আর তাতেই কমলাপুর যেন এক জনসমুদ্র। লোকে লোকারণ্য। গত ১ জুন থেকে অগ্রিম টিকিট প্রত্যাশী মানুষের যে ভিড় ছিল কমলাপুরে তা আজ (৫ জুন) কয়েক গুণ বেশি। পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনে ঢাকা ছেড়ে যেতে ৫ম দিনের মতো টিকিট সংগ্রহ করতে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছেন হাজার হাজার মানুষ। টিকিট কাউন্টারের সামনে থেকে শুরু করে মানুষে এই লাইন গিয়ে ঠেকেছে প্রধান সড়কের কাছাকাছি।
আজ বিক্রি হচ্ছে আগামী ১৪ জুনের টিকিট। সকাল ৮টা থেকে মোট ২৬টি কাউন্টারে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে নারীদের জন্য সংরক্ষিত কাউন্টার আছে দুইটি। এ ছাড়া আগামীকাল ৬ জুন দেওয়া হবে ১৫ জুনের ট্রেনের অগ্রিম টিকিট।
সরেজমিনে দেখা যায়, অনেকেই রাত থেকে অপেক্ষা করেও একটি টিকিট মেলাতে পারছেন না। অনেকেই মলিন মুখ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। টিকিট পাবেন কিনা তাও জানেন না। গত চার দিনের তুলনায় আজ টিকিট প্রত্যাশীদের সবচয়ে ভীড় বেশি।
কাঙ্ক্ষিত টিকিট পেতে গতকাল বিকেল থেকেই শত শত মানুষ লাইনে দাড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। ভোর হতে না হতেই লাইন দীর্ঘ হতে থাকে। অনেকেই সেহরি খেয়ে ভোরে এসেছেন। ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে টিকিট প্রত্যাশিদের সংখ্যা। সকাল ৭টার দিকে লাইনে মানুষের সংখ্যা প্রায় টিকিটের দ্বিগুণ হয়ে যায়।
এদিকে, টিকিট কাউন্টার থেকে জানানো হয়, একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট সংগ্রহ করতে পারছেন। ঈদ উপলক্ষে বিক্রিত টিকিট ফেরতযোগ্য নয়। সুবর্ণ এক্সপ্রেস ও সোনার বাংলা ট্রেনে কোনো আসন বিহীন টিকিট ইস্যু করা হবে না। অন্যান্য ট্রেনের ক্ষেত্রে শুধু যাত্রীদের অনুরোধে যাত্রার দিন আসন বিহীন টিকিট ইস্যু করা হবে।
এদিকে ট্রেনর অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে যেন কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে লক্ষ্যে আইন-শৃংখলা বাহিনীসহ রেলওয়ের নিজস্ব বাহিনী তৎপর রয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্টেশন কর্তৃপক্ষ।
নিজস্ব প্রতিবেদক, সম্পাদনা: এম কে রায়হান